November 30, 2023, 9:21 pm
দৈনিক কুষ্টিয়া প্রতিবেদক/
এই মুহুর্তে ভারত-সীমান্ত নিকটবর্তী ও করোনার প্রকোপ বাড়তে থাকা জেলা কুষ্টিয়ায় লকডাউন আসছে না। তবে করোনা বা করোনার ভারতীয় ধরন ঠেকাতে জনসচেতনতা নমুনা পরীক্ষা বাড়ানোর ওপর জোর দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১ জুন) জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
কুষ্টিয়ায় করোনা পরিস্থিতি বিষয়ে দুপুরে এ সভা শুরু হয়। ভার্চ্যুয়ালে অনুষ্ঠিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম।
প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী চলা এ সভায় যুক্ত ছিলেন কমিটির সদস্যসচিব ও সিভিল সার্জন এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম, পুলিশ সুপার খাইরুল আলম, কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ আবদুল মোমেন, আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডাঃ তাপস কুমার সরকার, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান, জেলার ছয় উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তারা (ইউএনও)।
সভায় স্বা¯’্য বিভাগের পর্যবেক্ষণ তুরে ধরে সিভিল সার্জন বলেন কুষ্টিয়ায় করোনা পরিস্থিতি খারাপ বলব না। তবে একটু বাড়তির দিকে। এ রকম পরি¯ি’তি আগেও দুবার হয়েছিল। ঈদের কেনাকাটায় ভিড় পরবর্তী এটাকে এখনও স্বাভাবিক মনে করা যেতে পারে।
ভারতীয় ধরনের ছড়িয়ে পড়ার বিষয়ে স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে সীমান্তে কঠোর তদারকির ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
কুষ্টিয়ায় এ পর্যন্ত ৪ হাজার ৯৭৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। গত ৪ দিনে করোনা পজিটিভ হয়েছেন ১০২ জন। এদিকে গত রোববার জেলায় ১৮৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে এক দিনে সর্বোচ্চ ৩৩ জনের করোনা পজিটিভ এসেছে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসার পর এটাই কুষ্টিয়ায় সর্বো”চ শনাক্তের সংখ্যা। এদিন করোনায় একজন মারাও গেছেন। গত ২৪ ঘন্টায় ১১৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় পজিটিভ পাওয়া যায় ১৮ জনের।
করোনায় সংক্রমিত হয়ে মারা গেছেন ১১৩ জন। গত তিন দিনে তিনজন মারা গেছেন।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল সূত্র বলছে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের তত্বাবধানে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে মোট কোভিড বেড ৫০। এর মধ্যে আইসোলেশন বেড ৩০, অবজারভেশন বেড ২০টি।
আজ (জুন ১) করোনা রোগী ভর্তি আছে ৩৪ জন।
এখানে চার শয্যার লেভেল-১ মাত্রার আইসিইউ ইউনিট আছে। তবে এটি লেভেল-২ রুপান্তরের কাজ চলছে। দুই সপ্তাহ লাগবে।
এখানে একটি লিকুইড অক্্িরজেন ট্যাংক রয়েছে।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ছোট বড় ৩৪৭টি সিলিন্ডার রয়েছে। এতে সর্বনিম্ন ৬০০ লিটার থেকে সর্বো”চ ২ হাজার লিটার পর্যন্ত অক্সিজেনের জোগান দিতে পারে। করোনা ওয়ার্ডে বর্তমানে ১০ থেকে ১২ জনকে সার্বক্ষণিক অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে। হাসপাতালে কেন্দ্রীয় অক্সিজেনের ব্যবস্থা আছে। বেশি মাত্রায় অক্সিজেন সরবরাহের ১৪টি হাই ফ্লো নাজাল ক্যানুলা (এইচএফএনসি) রয়েছে। তবে তিনটি নষ্ট।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) তাপস কুমার সরকার বলেন, আরও পাঁচটি হাই ফ্লো নাজাল ক্যানুলা ঢাকা থেকে আনা হচ্ছে। এ ছাড়া যদি কেউ হাসপাতালে স্বেচ্ছায় সরবরাহ করতে চান, সেটাই সাদরে গ্রহণ করা হবে।
কুষ্টিয়া জেলায় এ পর্যন্ত ৫০ হাজার ৯৩৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৪ হাজার ৯৬৫ জনের করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে।
কষ্টিয়ায় পরীক্ষা বিবেচনায় করোনা সংক্রমণের হার ১৫ থেকে বেড়ে ১৯ শতাংশ হয়েছে। এদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় এক জনের মৃত্যুসহ এ পর্যন্ত ১১২ জনের মৃত্যু হলো।
Leave a Reply