October 10, 2024, 2:17 am
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
কুষ্টিয়া শহরের মঙ্গলবাড়িয়া এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে বাবা ও তার সাত বছরের শিশু সন্তানের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহতদের পরিচয় হলো রেজাউল করিম মধু, ৩০, তার ৬ বছরের ছেলে ইহসানুল করিম মুগ্ধ।
পুলিশ জানায়, রেজাউল একজন ধর্মান্তরিত মুসলিম। তার পূর্বের নাম ছিল মধুসূদন রায়। তিনি শহরের আলফা মোড় এলাকার বিষ্ণুপদ রায়ের ছেলে। প্রায় আট বছর আগে মধুসুদন রেজাউল করিম মধু নামে ধর্মান্তরিত হয়ে মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের আসাদুল মন্ডলের মেয়ে শেফালি খাতুনকে ভালোবেসে বিয়ে করেন। বেশ কিছু দিন ধরে রেজাউল আলফা মোড়ের শ্বশুড় বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। তার কিছু দুরেই তার একটি ভাড়া বাসা রয়েছে।
পুলিশ নিহতের পরিবারকে উদ্বৃত করে বলেছে, মধু আজ শনিবার দুপুর ১২টার দিকে ছেলে মুগ্ধকে নিয়ে একই এলাকার হরেকৃষ্ণপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি করার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও সন্তানকে নিয়ে ফিরে না আসায় মা শেফালি পাশেই তাদের ভাড়া বাসায় আসেন। এসে ঘরের দরজা বন্ধ দেখতে পেয়ে ডাকাডাকি করেন। কোনো সাড়া না পেয়ে জানালার ছিদ্র দিয়ে দেখতে পান তার স্বামী ও সন্তান ঘরের মধ্যে একই রশিতে ঝুলে আছে। তার আর্তচিৎকারে প্রতিবেশীরা এসে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের পাঠায়।
শেফালি খাতুন জানান, ধর্মান্তরিত হওয়ার পর থেকেই মধুসুদন ওরফে রেজাউল তার জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনী নিয়ে বেশ জটিলতায় ভুগছিলেন। যার জন্য সে তার ছেলেকে স্কুলে ভর্তি করাতে পারছিলেন না। এ নিয়ে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে আসছিলেন।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সোহেল রানা জানান, ‘এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। এখানে আত্মহত্যা ও হত্যার দুইটি ঘটনা থাকতে পারে। ছেলেকে হত্যার পর বাবা আত্মহত্যা করতে পারে।’
তিনি বলেন, আরও তদন্ত প্রয়োজন।
Leave a Reply