December 12, 2024, 3:30 am
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
আমের জেলা রাজশাহীতে এবার প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকার আম বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি বিভাগ। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্র জানায়, গত বছর এক হাজার কোটি টাকার আম বিক্রি হয়। এবার দেড় হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। গত বছর ১৮ হাজার ৫১৫ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছিল। এ বছর ১৯ হাজার ৫৭৮ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ২ লাখ ৫৮ হাজার মেট্রিক টন উৎপাদন হবে। এর মধ্যে ৩০০ মেট্রিক টন বিদেশে রফতানি হবে।
এদিকে, প্রতি বছরের মতো এবারও আম পাড়ার সময় নির্ধারণ করে দিয়েছে জেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার (৪ মে) থেকে আম পাড়া ও বাজারজাত শুরু হচ্ছে।
বুধবার (০৩ মে) দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আম সংগ্রহ, পরিবহন, বিপণন ও বাজার মনিটরিং সভায় ‘ম্যাঙ্গো ক্যালেন্ডার’ প্রকাশ করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ।
এবার রাজশাহীতে আমের ভালো ফলন হয়েছে বলে জানালেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক মোজদার হোসেন। তিনি বলেন, গত বছর আমের মণ তিন হাজার ২০০ থেকে চার হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। এবারও চাষিরা ভালো দাম পাবেন। আর মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য রোধে গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সবকিছু ঠিক থাকলে আমের বাজার স্বাভাবিক থাকবে।
১৯ হাজার ৫৭৮ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে জানিয়ে মোজদার হোসেন বলেন, এসব গাছে দুই লাখ ৫৮ হাজার মেট্রিক টন উৎপাদন হবে। এসব আমের বাজার হবে দেড় হাজার কোটি টাকার। শুরুতেই বিদেশে রফতানি হবে। গুটি জাতের আম বাঘা থেকে প্রথমদিন ইতালি যাবে। এগুলো রফতানির জন্য ভালো। খেতে সুস্বাদু।
সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার (৪ মে) থেকে গুটি আম বাজারজাত করা যাবে। গোপালভোগ ১৫ মে, লক্ষণভোগ বা লখনা ও রানি পছন্দ ২০ মে, হিমসাগর বা ক্ষীরশাপাত ২৫ মে, ৬ জুন থেকে ল্যাংড়া, ১৫ জুন থেকে ফজলি, ১০ জুন আম্রপালি এবং ১০ জুলাই থেকে আশ্বিনা ও বারি আম-৪, ১০ জুলাই থেকে গৌড়মতি এবং ২০ আগস্ট ইলামতি আম বাজারজাত শুরু হবে। পাশাপাশি কাটিমন ও বারি আম-১১ সারা বছরই বাজারজাত করা যাবে।
আম বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান সাদিয়া এন্টারপ্রাইজের মালিক শফিকুল ইসলাম ছানা বলেন, বুধবার গুটি আমের প্রথম চালান ঢাকায় গেছে। বৃহস্পতিবার ঢাকা থেকে ইতালি যাবে। এই জাতের আম আগে পাকে। খেতে সুস্বাদু হওয়ায় স্থানীয় বাজারে চাহিদা বেশ। তবু আমরা রফতানি করছি। ১০০ টাকা কেজি দরে রফতানির জন্য বিক্রি করেছি। তবে স্থানীয় বাজারে দাম আরও বেশি হবে।
Leave a Reply