June 1, 2023, 5:34 am

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন পোর্টাল
সংবাদ শিরোনাম :
সীমান্ত কুষ্টিয়া/হারিয়ে যাওয়া গরু মুন্নিকে ফিরিয়ে নিতে তুলকালাম, বিজিবি-বিএসএফ বৈঠক কুষ্টিয়ায় ডক্টর’স ল্যাবের উদ্যোগে “লাইভ পেন-ফ্রি এন্ড ইয়াং এগেইন” শীর্ষক সায়েন্টিফিক সেমিনার তুরস্ক/টানা তৃতীয়বারের বিজয়কে গণতন্ত্রের জয় বললেন এরদোয়ান গত নির্বাচনের পর থেকে দেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিরাজমান, আমরা আর অশান্তি-সংঘাত চাই না : শেখ হাসিনা মার্কিন ভিসানীতি টাকা পাচার কমাবে, জ্বালাও-পোড়াও বন্ধ হবে ইবিতে সুষ্ঠু পরিবেশে গুচ্ছভুক্ত ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত মেহেরপুর/ জাল সনদে শিক্ষক, চাকরিরত ৬ জনে বিরুদ্ধে ব্যবস্থার সুপারিশ মার্কিন ভিসানীতি : বাণিজ্যের ক্ষেত্রে এখনই প্রভাব নেই, কারন আমেরিকা এদেশ থেকে পণ্য ক্রয় করে কম কুমারখালী/ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করেই খুন, তদন্ত শেষে জানালো র‌্যাব বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি/গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ফল প্রকাশ: পাসের হার ৫৬.৩২ শতাংশ

এনটিআরসিএ’র জাল সনদে চাকুরী, ৬৭৮ শিক্ষক চিহ্নিত, ফেরত দিতে হবে টাকা, সাথে শাস্তি

দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর (ডিআইএ) সারাদেশে এখন পর্যন্ত প্রায় ৬৭৮ জনকে চিহ্নিত করেছে যারা বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ’র (এনটিআরসিএ) নামে ভুয়া ‘শিক্ষক নিবন্ধন’ সনদ দিয়ে চাকুরীরত রয়েছেন।
ডিআইএ তদন্তে ভুয়া প্রমাণিত এসব তথাকথিত শিক্ষকদের চাকুরী থেকে বরখাস্ত করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহনের সুপারিশ করে তাদের কাছ থেকে চাকুরী বাবদ উত্তোলিত বেতন-ভাতা ফেরত নিয়ে নেয়ার সুপারিশ করেছে। টাকার পরিমাণ ৩৫ কোটি ৫৬ হাজার ১১৮ টাকা।
ডিআইএর তদন্তের কালপর্ব ২০১৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২১ সালের ২০ নভেম্বর পর্যন্ত।
ডিআইএর প্রধান কাজ স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন দপ্তর বা সংস্থায় পরিদর্শন এবং নিরীক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা। পরিদর্শন শেষে প্রতিবেদনে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের আর্থিক ও প্রশাসনিক অনিয়ম, দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা তুলে ধরার পাশাপাশি ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়। এর ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিয়ে থাকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, শিক্ষকদের এমপিওভুক্ত করার আগে শিক্ষাগত সব সনদ যথাযথভাবে যাচাই করার কথা। কিন্তু জাল সনদ জানার পরও অবৈধ সুবিধা নিয়ে বিষয়টি চেপে যান মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের কিছু অসাধু কর্মকর্তা। ফলে সনদ জাল হওয়ার পরও তাঁরা এমপিওভুক্ত হয়ে যান। পেতে থাকেন বেতন-ভাতা বাবদ সরকারি অর্থও। তবে এনটিআরসিএর মাধ্যমে অনলাইনে সনদ যাচাইয়ের ব্যবস্থা করার পর জাল সনদের হার কিছুটা কমেছে।
জানা যায়, জাল সনদ নিয়ে শিক্ষকতা করছেন—এমন ৬৭৮ শিক্ষকের তালিকা করেছে ডিআইএ। তালিকাটি গত ৮ জানুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগে জমা দেওয়া হয়। এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদনে সই করেন ডিআইএর পরিচালক অধ্যাপক অলিউল্লাহ্ মো. আজমতগীর।
হাতে পাওয়া ওই প্রতিবেদনের অনুলিপি থেকে জানা যায়, যে ৬৭৮ শিক্ষকের সনদ জাল পাওয়া গেছে, তাঁদের মধ্যে ৫১২ জন এনটিআরসিএর শিক্ষক নিবন্ধনের ভুয়া সনদ দেখিয়েছেন। অন্য জাল সনদগুলোর মধ্যে জাতীয় কম্পিউটার প্রশিক্ষণ ও গবেষণা একাডেমির (নেকটার) ১৩৫টি, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫টি, রয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫টি, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ১টি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১টি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২টি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ১টি, উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১টি, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ১টি, কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ১টি, বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের ১টি, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের ২টি।
বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে ডিআইএ পরিচালক অধ্যাপক অলিউল্লাহ্ মো. আজমতগীর বলেন, ডিআইএর তদন্তে জাল সনদের বিষয়টি ধরা পড়েছে। প্রতিবেদনে এমপিও বাবদ নেওয়া অর্থ (বেতন-ভাতা) ফেরত নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। এখন নিয়মানুযায়ী চূড়ান্ত পদক্ষেপ নেবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
জাল সনদের তালিকা পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ৫১২টি জাল শিক্ষক নিবন্ধন সনদের মধ্যে ৩২৩ জন শিক্ষক এমপিওভুক্ত। এই শিক্ষকদের কাছ থেকে মোট ১৯ কোটি ৫২ লাখ ৭১ হাজার ৩৭০ টাকা আদায়ের সুপারিশ করা হয়েছে। বাকি ১৮৯ জন শিক্ষক এমপিওভুক্ত নন, তাই তাঁদের কাছ থেকে টাকা আদায়ের সুপারিশ করা হয়নি। এ ছাড়া তদন্তে ১৩৫টি জাল কম্পিউটার সনদের তথ্য পেয়েছে ডিআইএ। এর মধ্যে ১২৫ জন শিক্ষক এমপিওভুক্ত, তাঁদের কাছ থেকে মোট ১৩ কোটি ৪০ লাখ ৫৫ হাজার ৪১ টাকা আদায়ের সুপারিশ করা হয়েছে। এর বাইরে আরও ৩১ জন শিক্ষকের বিএডসহ গ্রন্থাগার, সাচিবিকবিদ্যা ও অন্যান্য বিষয়ের সনদ জাল। তাঁদের কাছ থেকে ২ কোটি ৭ লাখ ২৯ হাজার ৭০৭ টাকা আদায় করা হবে।
আরও দেখা যায়, এনটিআরসিএর জাল শিক্ষক নিবন্ধন সনদ সবচেয়ে বেশি দেখিয়েছেন রাজশাহী বিভাগের, ২৩০ জন এবং সবচেয়ে কম চট্টগ্রাম বিভাগের, ২২ জন।
এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা জাল সনদ নিয়ে দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন যারা তাদের এমপিওভুক্তি ও নিয়োগ বাতিল এবং অর্থ ফেরত নেওয়া হবে। একই সঙ্গে তাঁদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলাও করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন..


Leave a Reply

Your email address will not be published.

পুরোনো খবর এখানে,তারিখ অনুযায়ী

MonTueWedThuFriSatSun
293031    
       
  12345
6789101112
       
  12345
2728     
       
      1
3031     
   1234
19202122232425
       
293031    
       
    123
45678910
       
  12345
27282930   
       
14151617181920
28      
       
       
       
    123
       
     12
31      
      1
2345678
16171819202122
23242526272829
3031     
     12
3456789
10111213141516
17181920212223
242526272829 
       
© All rights reserved © 2021 dainikkushtia.net
Design & Developed BY Anamul Rasel