December 12, 2024, 3:09 am
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
‘সকলের অংশগ্রহণ বন্যপ্রাণী হবে সংরক্ষণ’ শ্লোগানকে সামনে রেখে আজ (৩ মাচ) পালিত হচ্ছে বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবস। জাতিসংঘভুক্ত দেশগুলো এ দিবসটি পালন করে থাকে। ২০১৩ সালের ২০ ডিসেম্বর জাতিসংঘের ৬৮তম সাধারণ অধিবেশনে ৩ মার্চকে বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ২০১৪ সালে প্রথম দিবসটি পালন করা হয়। বিশ্বের বন্যপ্রাণী এবং উদ্ভিদকূলের প্রতি সচেতনতা বৃদ্ধি করা এই দিবসের মূল লক্ষ্য।
বাংলাদেশেও বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হয়। বাংলাদেশে বন্যপ্রাণীদের অবস্থা মোটেও ভাল নয়। সারাদেশেই সচেতন-অচেতনভাবে হরহামেশাই হত্যা করা হয়ে থাকে বন্যপ্রাণী। আরও ভয়াবহ ব্যাপার হল বন্যপ্রাণী পাচার। পাচার হওয়া বন্যপ্রাণীগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশী শিকার হয় পাখি। কোনোভাবেই বন্যপ্রাণী পাচার সিন্ডিকেটকে দমানো যাচ্ছে না। সচেতনভাবেই এই পাচার অপরাধ সংগঠিত হচ্ছে।
ইউএস ‘এলিমিনেট, নিউট্রালাইজ অ্যান্ড ডিসরাপ্ট ওয়াইল্ড লাইফ’ ট্রাফিকিং প্রতিবেদনে বিশ্বের ২৮ দেশের তালিকায় বাংলাদেশও রয়েছে। অনেকেই বলছেন, বন্যপ্রাণী পাচারের অন্যতম রুট হিসেবে বাংলাদেশকে বিবেচনা করা হয়।
বাংলাদেশে বন্যপ্রাণী উদ্ধার অভিযান প্রক্রিয়ার সঙ্গে মামলা জরিমানাও করে বন বিভাগ। কিন্তু কাজের কাজ হচ্ছে কম।
একটি হিসেবে দেখা গেছে, গত বছরের জুন থেকে গত জানুয়ারি পর্যন্ত বন্যপ্রাণী উদ্ধার অভিযানের
এর মধ্যে জুন মাসে ৬৩ অভিযানে ৩৩৪টি বন্যপ্রাণী উদ্ধার হয়। এরমধ্যে পাখি ২৮৭টি, মেছো বিড়াল, বানর, কচ্ছপ ও শিয়াল ৫টি করে। হনুমান, বেজি এবং গুইসাপ একটি করে, সাপ ২০টি এছাড়া ২টি করে গন্ধগোকুল ও তক্ষক উদ্ধার করা হয়।
জুলাই মাসে ৪১ অভিযানে ৩১৪টি বন্যপ্রাণী উদ্ধার হয়। এরমধ্যে পাখি ১৩১টি, সবুজ ব্যাঙ ১৫০টি, মেছো বিড়াল ২টি, বনবিড়াল ৭টি, মায়া হরিণ ২টি, গুইসাপ ৫টি, গন্ধগকুল ৬টি, বানর ২টি, সাপ ৮টি।
আগস্ট মাসে ৫২ অভিযানে ৩২১ টি বন্যপ্রাণী উদ্ধার হয়। এরমধ্যে পাখি ২৬৮টি , বনবিড়াল ৫ টি, শিয়াল-৫টি, কড়িকাইট্টা-১৬টি, কাঠবিড়ালি-২টি, গন্ধগকুল ১টি, তক্ষক ১০টি, সাপ ৮টি, বানর ৪টি, হনুমান-২টি।
সেপ্টেম্বর মাসে মোট অভিযান চলে ৫৩টি।এতে ৫৭৪টি বন্যপ্রাণী উদ্ধার করা হয়। যারমধ্যে বনবিড়াল ৩টি, শিয়াল-২টি, কাঁঠ বিড়ালি ১টি, বেজি ২টি, গন্ধগকুল ৩টি, মেছো বিড়াল ২টি, সুন্ধিকাছিম ১টি, পাখি ৫২৯টি, তক্ষক ২টি, সাপ ২১টি, বানর ৪টি, হনুমান ১টি এবং গুইসাপ ৩টি।
অক্টোবর মাসে ৪৮ অভিযানে ৭৯৬টি বণ্যপ্রাণী উদ্ধার হয়। এগুলোর মধ্যে শিয়াল ২টি, কড়িকাইট্টা ৩০টি, মেছো বিড়াল ২টি, সুন্ধিকাছিম ১টি, পাখি ৭৩৩টি, সাপ ১৯টি, বানর ৭টি, গুইসাপ ২টি।
নভেম্বর মাসে ৫০৪টি বন্যপ্রাণী উদ্ধার করা হয়েছে। এজন্য সারাদেশে ৫১টি অভিযান চালানো হয়। উদ্ধারকৃত বন্যপ্রাণীর মধ্যে ৩৪৩টি বিভিন্ন প্রজাতির পাখি রয়েছে। এছাড়া সাপ ১৪টি, বানর ৬টি, বাঘাআইড় মাছ ১টি, হনুমান-২টি, লোনা পানির কুমির ১টি, কাড়িকাইট্টা ৮০টি, বনবিড়াল-১টি, সুন্ধিকাছিম ৫৫টি, বেজি একটি।
গত ডিসেম্বরে ৩৬টি অভিযানে ২৭৪টি বন্যপ্রাণী উদ্ধার হয়। এরমধ্যে সুন্ধি কচ্ছপ ১৪টি, শিয়াল-১টি, বনবিড়াল ২টি, গন্ধগকুল ২টি, বেজি ১টি, পাখি ২৪১টি, সাপ ৬টি, বানর ৬টি, হনুমান-১টি
জানুয়ারি-২০২৩-এ ৩৬ অভিযানে ৩১৫টি বন্যপ্রাণী উদ্ধার হয়। এরমধ্যে সজারু-১টি, শিয়াল-২টি, বনবিড়াল ৯টি, গন্ধগকুল ১টি, ভালুক শাবক ২টি, পাখি ২৮০টি, সাপ ৩টি, বানর ১২টি, গ্রিভেট বানর ৪টি এবং গুইসাপ ১টি।
সবচেয়ে বেশি পাচার হয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির পাখিসবচেয়ে বেশি পাচার হয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি
Leave a Reply