January 26, 2025, 5:18 pm
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
কুষ্টিয়ায় রক্সি পেইন্ট’র এরিয়া ম্যানেজার লোকমান হোসেন হত্যা মামলায় দুই আসামীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১২।
সোমবার এক প্রেস ব্রিফিংএ র্যাব-১২ কুষ্টিয়ার কমান্ডার স্কোর্য়াডন লিডার ইলিয়াস খান।
গত ৩ আগষ্ট ভেড়ামারা সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের গলির পাশে পলিথিন মোড়ানো অবস্থায় একটি অজ্ঞাত মৃতদেহ উদ্ধার করে ভেড়ামারা থানা পুলিশ। পরবর্তীতে মৃতদেহটি রক্সি পেইন্ট কোম্পানি লিমিটেড এর কুষ্টিয়া অঞ্চলের এরিয়া ম্যানেজার লোকমান হোসেন এর বলে তার স্ত্রী জিন্নাত আরা টুম্পা শনাক্ত করেন। ১ আগষ্ট থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী ভেড়ামারা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন ৩ আগস্ট।
রাব জানায় ৭ আগষ্ট ঢাকা জেলার সাভার এলাকা হতে উক্ত মামলার এজাহারভুক্ত আসামী দর্পন আলী ও তার ছেলে সোহানুর রহমান সোহান (২২) গ্রেফতার করে। দর্পণ আলীর বাড়ি ভেড়ামারাা উপজেলার চাঁদগ্রাম। জিজ্ঞাসাবাদে আসামি সোহানুর রহমান সোহান হত্যাকান্ডে তাদের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে এবং হত্যাকান্ডের স্থান ‘দর্পণ হার্ডওয়্যার’ এর ভাড়াকৃত গোডাউন সোহান ও তার পিতা দর্পন আলীর রক্ত রক্তমাখা পোশাক উদ্ধার করে।
র্যাব জানায় নিহত লোকমান হোসেন গত ১ আগস্ট ভেড়ামারা উপজেলায় অবস্থিত দর্পণ হার্ডওয়্যারে যান কোম্পানির বকেয়া বিল আদায়ের উদ্দেশ্যে। ঐ হার্ডওয়্যারের মালিক দর্পণ আলীর আরেক ছেলে আব্দুল আউয়াল র্যাভেন তাদের বকেয়া টাকা কুক্ষিগত করার উদ্দেশ্যে লোকমান হোসেনকে হত্যার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা মতে র্যাভেনের ছোট ভাই সোহানুর রহমান সোহান লোকমানকে তাদের ভাড়াকৃত গোডাউনে নিয়ে যায়। সেখানে আগে থেকে অবস্থান করা একই উপজেলার কাচারীপাড়া এলাকার প্রান্ত ইসলাম সাব্বির (২১) মোহাম্মদ শুভ’র (২৩) লোকমানকে হাতুড়ি দিয়ে মাথায় আঘাত করে এবং শ^াসরোধ করে হত্যাকান্ড সম্পন্ন করে।
হত্যাকান্ডের পরের দিন সকালে সোহান তার বাবা দর্পণ আলীকে বিষয়টি জানায়। তখন দর্পণ আলী সোহানকে মৃতদেহটি গুম করে ফেলার নির্দেশ দেয়। ঐদিনই গভীর রাতে র্যাভেন হত্যকারীরা লোকমানের মৃতদেহ ভেড়ামারা সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশের গলিতে ফেলে রাখে। ৩ আগষ্ট সকালে নিহত লোকমানের খোঁজে তার স্ত্রী জিনাত দর্পণ হার্ডওয়্যারে যান এবং দর্পণ আলীকে বিষয়টি জানান। দর্পণ আলী জানায় লোকমান আগেরদিন তার দোকানে এসেছিল এবং বকেয়া টাকা নিয়ে চলে গেছে।
এদিকে পরিস্থিতি প্রতিক‚ল ভেবে গ্রেফতার এড়াতে দর্পণ আলী তার ছোট ছেলে সোহানকে নিয়ে বাড়ি থেকে আত্মগোপনে চলে যায়।
লাশ উদ্ধারের পর নিহতের স্ত্রী জিনাত বাদী হয়ে ৩ আগষ্ট ভেড়ামারা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
র্যাব জানায় হত্যাকান্ডে জড়িত অন্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে
Leave a Reply