May 28, 2023, 7:05 am

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন পোর্টাল
সংবাদ শিরোনাম :
মার্কিন ভিসানীতি টাকা পাচার কমাবে, জ্বালাও-পোড়াও বন্ধ হবে ইবিতে সুষ্ঠু পরিবেশে গুচ্ছভুক্ত ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত মেহেরপুর/ জাল সনদে শিক্ষক, চাকরিরত ৬ জনে বিরুদ্ধে ব্যবস্থার সুপারিশ মার্কিন ভিসানীতি : বাণিজ্যের ক্ষেত্রে এখনই প্রভাব নেই, কারন আমেরিকা এদেশ থেকে পণ্য ক্রয় করে কম কুমারখালী/ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করেই খুন, তদন্ত শেষে জানালো র‌্যাব বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি/গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ফল প্রকাশ: পাসের হার ৫৬.৩২ শতাংশ দেশের ২৯তম গ্যাসক্ষেত্র ইলিশা কুষ্টিয়াসহ সাত জেলার ৩২৩ ‘চরমপন্থি’ আত্মসমর্পণ করছে আজ, জমা হবে ২’শর বেশী অন্ত্র বাখমুতের পুরোটাই দখলে, শীঘ্রই হস্তান্তর রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিস্থিতিচক্রে প্রধান বিচারপতির আত্মীয়ও আদালতে খুইয়েছিলেন ১৯ লাখ টাকা/ জানালেন তিনি

৭২ ঘণ্টার মধ্যে সারাদেশের অনিবন্ধিত সব ক্লিনিক বন্ধের নির্দেশ, কুষ্টিয়ায় রয়েছে ৯৭টি

দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে দেশের সব অনিবন্ধিত ক্লিনিক বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এসময়ের মধ্যে ক্লিনিক বন্ধ করা না হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছে অধিদপ্তর।
আজ বৃহস্পতিবার (২৬ মে) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবিরের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
উল্লেখ্য, দেশে অনিয়ম-বিশৃঙ্খলায় চলছে বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো। সরকারি নিয়মনীতি উপেক্ষা করে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠছে যেখানে-সেখানে। এভাবে গড়ে ওঠা ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর অধিকাংশেরই নেই কোনো স্বাস্থ্য অধিদফতরের অনুমোদনপত্র। শুধু অনুমোদনের জন্য অনলাইনে আবেদন করে, আবার কোনো প্রতিষ্ঠান কোনো কিছু না করেই বহালতবিয়তে দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। অনুমোদনহীন এসব হাসপাতালে চিকিৎসার নামে ব্যবসা, প্রতারণা, রোগী ভোগান্তির অভিযোগ উঠছে হরহামেশাই। রমরমা ব্যবসার কারণে রাজধানীর বাইরে বিভাগীয় শহর থেকে শুরু করে উপজেলাগুলোতেও এখন রোগ নির্ণয় কেন্দ্রের ব্যাপক বিস্তৃতি ঘটেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে চারটি নির্দেশনা দেওয়া হয়। সেগুলো হলো-
>> আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে দেশের অনিবন্ধিত বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারসমূহ বন্ধ করতে হবে। অনিবন্ধিত বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারসমূহের বিরুদ্ধে এ কার্যক্রম চলমান থাকবে। এ কার্যক্রমে স্থানীয় প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করতে হবে।
>> যেসব প্রতিষ্ঠান নিবন্ধন গ্রহণ করলেও নবায়ন করেননি, তাদের নিবন্ধন নবায়নের জন্য সময়সীমা প্রদান করতে হবে। নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে নবায়ন গ্রহণ না করলে, সেসব প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে।
>> বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহে অপারেশনের সময় এনেস্থিসিয়া প্রদান ও ওটি অ্যাসিস্ট করার ক্ষেত্রে নিবন্ধিত চিকিৎসক ছাড়া অন্যদের রাখা হলে সেসব প্রতিষ্ঠান ও জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে লাইসেন্স বাতিলসহ কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
>> যেসব প্রতিষ্ঠান নতুন নিবন্ধনের আবেদন করেছেন, তাদের লাইসেন্স প্রদানের কার্যক্রম দ্রুত শেষ করতে হবে। লাইসেন্সপ্রাপ্তির আগে এসব প্রতিষ্ঠান কার্যক্রম চালাতে পারবে না।
খুলনা বিভাগের অধিকাংশ বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের নিবন্ধন নেই। অনলাইনে নিবন্ধনের নামমাত্র আবেদন করেই চলছে এসব প্রতিষ্ঠান। অধিদফতরের সঙ্গে গোপন আঁতাতের অভিযোগও রয়েছে নিবন্ধনহীন হাসপাতাল-ক্লিনিকের বিরুদ্ধে।
খুলনা জেলায় বর্তমানে বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক রয়েছে ৫ শতাধিক। এর মধ্যে নিবন্ধিত হাসপাতাল ১১০টি। বিভাগে ছোট-বড় বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিক রয়েছে প্রায় এক হাজার। এর মধ্যে ৩শটির মতো প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন নবায়ন করা হয়েছে।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য মতে, খুলনা বিভাগের দশটি জেলায় হাসপাতাল-ক্লিনিক রয়েছে ৬৮২টি। যার মধ্যে নিবন্ধন নবায়ন করা হয়েছে ৪৬৩টি। আর ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে ৮৭০টি। যার মধ্যে নিবন্ধন নবায়ন করা হয়েছে ৫৩৬টি।
বিভাগের কুষ্টিয়া জেলাতে এ ধরনের প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা প্রায় ৯৭টি। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে এর মধ্যে লাইসেন্স রয়েছে ৬০টির মতো। তবে পূর্ণাঙ্গ নিয়ম-নীতি মেনে চলছে এমন বেসরকারি হাসপাতাল, ডায়াগনোস্টিক ও ক্লিনিকের সংখ্যা একেবারেই হাতে গোনা। সূত্রটি জানায় বেশীরভাগ আবেদনকারীরা আবেদন করে ¦ং হাতেগোনা কয়েকটি নিয়ম প্রতিপালন করে প্রতিষ্ঠানগুলো চালিয়ে নিচ্ছেন বছরের পর বছর। কেউ লাইসেন্স ছাড়াই চিকিৎসা বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন। আবার কেউ লাইসেন্স নবায়ন না করায় অবৈধ হয়ে আছে। জেলা প্রশাসন থেকে এখন সিভিল সার্জন ও বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয়ে বৈধ ও অবৈধ হাসপাতাল-ক্লিনিকের তালিকা চাওয়া হয়েছে।
পত্র প্রাপ্তির বিষয়টি স্বীকার করে সিভিল সার্জন অফিসের একজন কর্মকর্তা জানান জেলা প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় নির্দেশনা নিয়েই এ বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহন করা হবে। তবে কুষ্টিয়াতে এ ধরনের কোন প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়েছে কি না এমন কোন রের্কড নেই। দিন দিন বাড়ছে হাসপাতাল, ক্লিনিক আর ডায়াগনস্টিক সেন্টার। শুধু জেলা শহর নয়, উপজেলা, এমনকি ইউনিয়ন পর্যায়েও ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠেছে বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ল্যাব। এদের বেশির ভাগেরই যথাযথ অনুমোদন নেই। স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে এসব প্রতিষ্ঠানের কোনো সঠিক তথ্যও নেই। কোনো তদারকিও নেই। প্রশিক্ষিত টেকনোলজিস্ট-টেকনিশিয়ান এবং রেজিস্ট্রার্ড ডাক্তার ছাড়াই পরীক্ষা-নিরীক্ষার রমরমা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে বছরের পর বছর ধরে।
সরকারি হাসপাতালের ডাক্তার, আয়া, বুয়ারা কমিশনের মাধ্যমে এসব হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোগী পাঠান। এসব হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষা এবং চিকিৎসার নামে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে নগদ টাকা।
জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরেরর পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখা) ডা. বেলাল হোসেন বলেন, অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে অনিবন্ধিত সব ক্লিনিক বন্ধ করতে হবে। এসময়ের মধ্যে অনিবন্ধিত ক্লিনিক বন্ধ না করলে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নেবো।

নিউজটি শেয়ার করুন..


Leave a Reply

Your email address will not be published.

পুরোনো খবর এখানে,তারিখ অনুযায়ী

MonTueWedThuFriSatSun
22232425262728
293031    
       
  12345
6789101112
       
  12345
2728     
       
      1
3031     
   1234
19202122232425
       
293031    
       
    123
45678910
       
  12345
27282930   
       
14151617181920
28      
       
       
       
    123
       
     12
31      
      1
2345678
16171819202122
23242526272829
3031     
     12
3456789
10111213141516
17181920212223
242526272829 
       
© All rights reserved © 2021 dainikkushtia.net
Design & Developed BY Anamul Rasel