November 7, 2024, 10:19 pm
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
সড়ক বাড়ছে না, অন্যদিকে প্রয়োজনও বাড়ার প্রমাণ নেই তারপরও দেশে প্রতি ২৪ ঘন্টায় নতুন প্রাইভেটকার নামছে ৫০টি, মোটরসাইকেল ১৪০৯টি। এছাড়া রয়েছে বাস, মাইক্রো-বাস, পিকআপ, অটোরিকশা, ট্রাকের সংখ্যাও।
যানবাহন ক্রয় বা রেজিস্ট্রেশন দেওয়া নিয়ে এখনও কোনও ধরনের সীমা নির্ধারণ করেনি সরকার। আবেদন করলেই মিলছে রেজিস্ট্রেশন।
অন্যদিকে সড়কে গাড়ির তুলনায় দক্ষ চালকও কম। যে কারণে বাড়ছে দুর্ঘটনাও। আবার বৈধ গাড়ির পাশাপাশি রেজিস্ট্রেশন বিহীন অবৈধ গাড়িও বেড়েছে রাস্তায়। তাতেও চাপ বাড়ছে সড়ক, পরিবেশ ও জনজীবনে।
২০১০ সালে দেশে রেজিস্ট্রেশন পাওয়া যানবাহন ছিল ১৪ লাখ ২৩ হাজার ৩৬৮টি। এক যুগ পর সেই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫১ লাখ ১০ হাজার ৭৮৬টিতে।
বিআরটিএ’র তথ্য বলছে, চলতি বছরের শুরুর দুই মাসে মাসে দেশে রেজিস্ট্রেশন দেওয়া হয়েছে ৯৬ হাজার ৮৭৮টি গাড়ির। এর মধ্যে মোটরসাইকেল রয়েছে ৮৪ হাজার ৫৮৩টি, প্রাইভেটকার ৩১২৩টি, বাস ৬৪০টি, ট্রাক ৯৩৫টি, জিপ ১৬৫৪, মাইক্রোবাস ১৩২৫টি, পিকআপ ১৭৫১টি, কাভার্ড ভ্যান ৯২১টি।
বিআরটিএ’র পরিসংখ্যান বলছে, দেশে এখন নিবন্ধন পাওয়া অটোরিকশা আছে ৩ লাখ ৬ হাজার ১৪৮টি, মোটরসাইকেল ৩৫ লাখ ৮৫ হাজার ৪৮৮টি, প্রাইভেটকার ৩ লাখ ৮৫ হাজার ১১৩টি, মাইক্রোবাস ১ লাখ ৯ হাজার ৬৯৪টি, পিকআপ ১ লাখ ৪৫ হাজার ৬০৪টি, ট্রাক ১ লাখ ৪৪ হাজার ৯২৩টি, বাস ৪৯ হাজার ৬৭৩টি, কাভার্ড ভ্যান ৪১ হাজার ৭৯৪টি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন কোন সড়কে কী ধরনের গাড়ি চলছে, কী পরিমাণ গাড়ি চলছে এ নিয়ে কোনও গবেষণা নেই।এটা অনেকটা বাঁধ খুলে দেওয়ার মতো। বন্যার পানির মতো শহরে গাড়ি বাড়ছে। রাজস্ব যতটুকু আসছে তার চেয়ে আমাদের অর্থনৈতিক ক্ষতি যে বেশি, তাতে কর্ণপাত করছে না কেউ। একদিকে যেমন গাড়ি বাড়ছে, তেমনি দুর্ঘটনাও বাড়ছে। সংখ্যাটা যখনই ধারণক্ষমতার বাইরে চলে যাবে, বিশৃঙ্খলা তৈরি হবেই।’
Leave a Reply