November 12, 2024, 6:41 am
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
ইতোমধ্যে কিয়েভের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে মস্কো। ঢুকে পড়েছে তার ভেতরে। যুদ্ধের গতি-প্রকৃতি কোন দিকে যাবে সে নিয়ে হিসেব এখন বিশ^দরবারে। স্নায়ুযুদ্ধের প্রায় ৪০ বছর পর ফের প্রায় দু’ভাগে বিভক্ত এখন বিশ্ব। যদিও এখনও কেউই পরিস্থিতিকে ‘তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধর’ আগের মুহূর্ত বলে ব্যাখ্যা করছেন না। তথাপিও বিভিন্ন দেশ ইতোমধ্যে এর-ওর পক্ষ নিয়ে ফেলেছ।
বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় রাশিয়া-ইউক্রেন দুদেশেই অনেক দেশকে তাদের পাশে পাবে। তবে ইতোমধ্যে ইউক্রেণের রাষ্ট্র প্রধানের কন্ঠে হতাশার সূর শোনা গেছে। তিনি রাশিয়ার এ ধরনের অভিযানের বিরুদ্ধে বিশ^নেতাদের যে উচ্চকন্ঠ প্রত্যাশা করেছিলেন তা পাননি। অবস্থা এমন থাকলে তার পরাজয় নেমে আসা সময়ের ব্যাপার মাত্র হয়ে উঠবে।
তারপরও বড় কিছু ঘটলে আমেরিকার শত্রু কিউবার সমর্থন পাবে রাশিয়া। আগেই চিন জানিয়ে দিয়েছে যে এই লড়াইয়ে রাশিয়ার পাশে রয়েছে তারা।
এছাড়া একসময়ে সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ থাকা আর্মেনিয়া, কাজাখস্তান, কর্গিস্তান, তাজিকিস্তান এবং বেলারুসের সমর্থন পাচ্ছেন ভ্লাদিমির পুতিন। আফগানিস্তানের তালিবান শাসক কায়েম হওয়ার পর সুরক্ষার স্বার্থে পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলো রাশিয়াকেই সমর্থন করবে। আজারবাইজান এবং মধ্য প্রাচ্যের ইরানকেও পাশে পাবে মস্কো।
এদিকে পারমাণবিক যুদ্ধ শুরু হলে উত্তর কোরিয়ারও সমর্থন পাবে রাশিয়া।
ন্যাটো অন্তর্ভুক্ত ইউরোপিয় দেশগুলোকে পাশে পাবে ইউক্রেন। বেলজিয়াম, কানাডা, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, আইসল্যান্ড, ইতালি, লাক্সেমবার্গ, নেদারল্যান্ড, নরওয়ে, পর্তুগাল, ব্রিটেন এবং আমেরিকার সমর্থন পাবে ইউক্রেন।
এছাড়া জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া এবং অস্ট্রেলিয়াও ইউক্রেনকে সমর্থন করছে।
গোটা বিশ্বে একমাত্র ভারতই এমন এক শক্তিধর দেশ যা এখনও কোনও পক্ষ গ্রহণ করেনি। কারণ রাশিয়া এবং পশ্চিমের দেশগুলো, উভয়ের সঙ্গেই ভারতের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক।
Leave a Reply