November 15, 2024, 2:16 am
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
‘খুনের পর লাশ গুমের শিকার’ রাকিবুজ্জামান রিপনকে ৫ বছর পর জীবিত উদ্ধার করেছে কুষ্টিয়া পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
মঙ্গলবার ( ২২ ফেব্রয়ারি) পিবিআই কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার শহীদ আবু সরোয়ার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গণমাধ্যমকে এই তথ্য জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মেহেরপুর জেলার সদর উপজেলার গোভীপুর (দত্তপাড়া) গ্রামের মনিরুল ইসলামের ছেলে রকিবুজ্জামান রিপনের (৩০) সঙ্গে ভরাট গ্রামের আকবর আলীর মেয়ে শ্যামলী খাতুনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর সে শ্বশুর বাড়িতে বসবাস করতেন। ২০১৭ সালের ৮ জুলাই বোনের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয় রাকিব। সেই থেকে রাকিব নিখোঁজ ছিলেন।
ছেলেকে না পেয়ে ২০১৮ সালের ১৫ অক্টোবর রাকিবের বাবা মনিরুল মেহেরপুর আদালতে রাকিবের স্ত্রীসহ তার বাবা, মা ও চাচাকে আসামি করে একটি খুন ও গুমের মামলা দায়ের করেন। আদালত পুলিশকে রাকিবের খোঁজ বের করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন। দীর্ঘ তদন্ত করে পুলিশ রাকিবের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি বলে ২০২০ সালের ১ মার্চ আদালতে চার্জশিট দাখিল করে।
আদালত পুলিশের আবেদন খারিজ করে ২০২০ সালের ১১ মার্চ কুষ্টিয়া পিবিআইকে রাকিবের খোঁজ বের করে প্রতিবেদন দাখিলের নিদের্শ দেন।
এরপর কুষ্টিয়া পিবিআই তদন্ত করে রাকিবের খোঁজ বের করে।
পুলিশ সুপার শহীদ আবু সরোয়ার জানান, রাকিব তার নাম পরিবর্তন করে শরিফুল ইসলাম নাম গ্রহণ করে গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার রাজেন্দ্রপুর এলাকায় ডার্ড কম্পোজিট টেক্সটাইল লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠানে টেকনিশিয়ান (ইলেকট্রিক্যাল) পদে চাকরি করে আসছিল। রাকিবের আইডি কার্ডে নতুন পরচিল ছিল শরিফুল ইসলাম। বাবার নাম শহিদুল ইসলাম, মায়ের নাম বেদানা বেগম, গ্রাম গোভিপুর, থানা ও জেলা মেহেরপুর।
এই পরিচয়ে রাকিব আরেকটি বিয়ে করেন। সেখানে তার ৬ মাস বয়সের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে।
গত ২০ ফেব্রুয়ারি কুষ্টিয়ার পিবিআইয়ের একটি দল সেখানে অভিযান চালিয়ে রাকিবকে গ্রেফতার করে।
মামলার আইও মনিরুজ্জামান জানান, রাকিব আজ মেহেরপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট তারিকুল ইসলামের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। যেখানে তিনি সব অভিযোগ স্বীকার করেছেন।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তাকে জেরে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে রাকিবকে ‘উদ্ধারের’ পর তার পরিবার সকাল থেকে মেহেরপুর আদালতে ভিড় করতে শুরু করে।
মামলার বাদী রাকিবের বাবা মনিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, তিনি তার ছেলের এই আচরণে দুঃখ পেয়েছেন। আইন এখন তার নিজস্ব গতিতেই চলবে।
Leave a Reply