September 8, 2024, 2:55 am
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
অপহরনের ২৬ দিন পর একটি কবর থেকে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র আবু হুরায়রার অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার ভোরে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার ৬নং ওয়ার্ডের তালতলা গ্রামের গোরস্তান পাড়ার পুরাতন একটি কবর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানায় একই এলাকার শহিদুল ইসলামের ছেলে মোমিনের স্বীকারোক্তিতে এ মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে পোস্ট মর্টেরে জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
তালতলা গ্রামের গোরস্তান পাড়ার আব্দুল বারেকের ছেলে আবু হুরায়রা (১১) চুয়াডাঙ্গা ভি জে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেণির ছাত্র ছিল। ৬ বোনের একমাত্র ছোট ভাই ছিল আবু হুরায়রা।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহাসিন জানান ১৯ জানুয়ারি বিকালে আবু হুরায়রা নিজ বাড়ি থেকে একই গ্রামের গ্রাম্য প্রাইভেট টিউটর রাজিব হক রঞ্জুর কাছে পড়তে যায়। এরপর থেকে সে নিখোঁজ হয়। নিখোঁজের দিনই হুরায়রার বাবা বারেক চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেন।
ওসি জানান এটি অপহরনের ঘটনা ছিল। কিন্তু ছেলেটির পরিবার তাদের কাছে মুক্তিপণ চাওয়া হচ্ছিল সেটি গোপন করে যায়। পরে ২৬ জানুয়ারি আবু হুরায়রার বাবা বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে সদর থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করেন।
অপহরণ চক্রটি ২৯ জানুয়ারি একটি চিরকুট দিয়ে ১০ লাখ টাকা দাবি করে। ১ ফেব্রুয়ারি চিরকুট দিয়ে অভিযুক্তরা মোবাইল ফোনে নম্বর দেয়। এসএমএস দিয়ে পুনরায় চাঁদা দাবি করে। পরের দিন স্কুলছাত্রের পরিবার মুক্তিপণ বাবদ ৫ লাখ টাকা দিতে চাইলে তারা ১০ লাখ টাকা দাবি করে।
৪ ফেব্রæয়ারি মুক্তিপণের জন্য ৬ লাখ টাকা দাবি করে অপহরণকারীরা। চিরকুট ও মোবাইল ফোন নম্বর স্কুলছাত্রের পরিবার পুলিশকে দেয়।
ওসি বলেন, রোববার রাতে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ তালতলা গ্রামের গোরস্তানপাড়া থেকে শহিদুল ইসলামের ছেলে মোমিনকে আটক করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে আবু হুরায়রাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর মরদেহ গ্রামের গোরস্তানের একটি পুরাতন কবর খুঁড়ে গুম করার কথা স্বীকার করে।
ওসি জানান মোমিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
Leave a Reply