November 15, 2024, 2:28 am
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
কুষ্টিয়ার চাঞ্চল্যকর মা-ছেলে সহ ৩ খুনের মামলার একমাত্র আসামী পুলিশের বরখাস্ত এএসআই সৌমেন রায় এর বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেছে ্আদালত। সোমবার শেষ কার্য মুহুর্তে সৌমেন রায় কে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় কুষ্টিয়ার জেলা ও দায়রা জজ শেখ আবু তাহের ফৌজদারী কার্যবিধির ২৬৫ (ঘ) ধারায় তাকে তার ৩ খুনের অপরাধ পড়ে শোনান।
সৌমেন নিজেকে নির্দোষ দাবি করার পর আদালত তার বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের নির্দেশ দেন। আদালত জানান আগামী যে কোন ধার্য তারিখে সাক্ষী গ্রহন করা হবে।
গত ১৩ জুন ২০২১ রোববার বেলা ১২ টার দিকে কুষ্টিয়া শহরের কাস্টমস মোড়ে সৌমেনের কথিত স্ত্রী ও তার ৬ বছর বয়সী শিশুসহ তিনজনকে নিজ সরকারী পিস্তল দিয়ে গুলি করে হত্যা করে।
ঘটনার পর থেকে সৌমেন রায় জেল হাজতে রয়েছেন।
গুলিতে নিহতরা হলেন আসমা খাতুন (৩০) ও তার ছেলে রবিন (৬) এবং সঙ্গে থাকা আসমার বন্ধু শাকিল (৩৫)। এদের মধ্যে আসমা ও তার ছেলে কুমারখালী নাটুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা ও শাকিল সাওতা গ্রামের বাসিন্দা, তারা কুষ্টিয়া শহরে বসবাস করতেন। শাকিল বিকাশের এজেন্ট হিসেবে কাজ করতেন। খুনের ঘটনার দিন রাতেই নিহত শাকিল হোসেনের বাবা মেজবার রহমান কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
ঘটনার সময় এএসআই সৌমেন রায় খুলনার ফুলতলা থানায় কর্মরত ছিলেন। তার বাড়ি মাগুরা জেলায়। তিনি একসময় কুষ্টিয়ার কুমারখালী থানায় কর্মরত ছিলেন। কুমারখালী থানাতে থাকাকালীন তিনি ঐ নারীর সাথে সম্পর্কে জড়ান। পরে তাকে বিয়ে করেন বলে দাবি আসমার পরিবারের।
তবে কি কারনে এ হত্যার ঘটনা ঘটে সেটা পুলিশ এখনও পরিস্কার না করলেও জানা গেছে সৌমেন আসমার সন্তান রবিনকে তার মায়ের বাড়িতে রেখে তার সাথে খুলনায় আলাদা বাসায় থাকবার জন্য চাপ প্রয়োগ করে আসছিল। আসমা তার ছেলের কথা ভেবে সৌমেনের প্রস্তাবে রাজি না হলে সে প্রথমে আসমাকে পরে তার ছেলেকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করে। এ সময় শাকিল ছুটে এলে তাকেও সে হত্যা করে।
এ নিষ্ঠুর হত্যাযজ্ঞোর পর সৌমেন কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিমের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দেন। ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে, তিনি বলেন প্রচন্ড রাগের মাথায় তিনি এ কাজ করেছেন। তবে ৬ বছরের শিশুটিকে হত্যা করা তার অপরাধ ছিল সে আদালতকে জানায়।
Leave a Reply