November 7, 2024, 10:04 pm
জহির রায়হান সোহাগ,চুয়াডাঙ্গা/
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় কাজ দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে এক নারীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।ওই ঘটনায় বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বাদী হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় মামলা দায়ের করেছেন ধর্ষণের শিকার ওই নারী। পরে রাতে অভিযান চালিয়ে প্রধান অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মামলার আসামীরা হলেন- আলমডাঙ্গা উপজেলার শালিকা গ্রামের আবু ছদ্দিনের ছেলে মুলাম হোসেন (৫০), একই উপজেলার বন্দরভিটা গ্রামের মৃত সন্টুর ছেলে রিপন আলী ওরফে লিপন (৩৫), শালিকা গ্রামের বারেক আলীর ছেলে হাসান আলী (৪০), জসিম উদ্দিনের ছেলে নাজিরুল ইসলাম (২৫), মহেশপুর গ্রামের মৃত তপেল বিশ্বাসের ছেলে হাবু হোসেন (৪২), নান্দবার গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে হামিদুল ইসলাম (৩৪), আসমানখালী গ্রামের মনসের আলীর ছেলে মিজানুর কলু (৪০) ও অজ্ঞাত আরও একজন।
নির্যাতনের শিকার ওই নারী জানান, স্বামীর সাথে বনিবনা না হওয়ায় দুই সন্তানকে নিয়ে পিতার বাড়িতে বসবাস করেন ওই নারী। অভাব অনটনের কারণে মানুষের বাড়িতে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন তিনি। তার পূর্ব পরিচিত আসমানখালী গ্রামের মিজানুর রহমান কলুকে একটি কাজ ঠিক করে দেয়ার জন্য বলেন তিনি। কলু ওই নারীকে আসমানখালী বাজারে আসতে বলেন। গত মঙ্গলবার দুপুরে ওই নারী আসমানখালী বাজারে ডাকেন কলু।
নির্যাতনের শিকার ওই নারী মামলার এজহারে উল্লেখ করেন, আসমানখালী বাজারে গেলে তাকে স্থানীয় রশিদের দোতলা বিল্ডিংয়ের একটি কক্ষে নিয়ে জোরপূর্বক পালাক্রমে ধর্ষণ করে কলুসহ ৮ জন। ধর্ষণ শেষে তাকে বিকেল ৪টার দিকে ওই কক্ষে ফেলে রেখে চলে যায় ধর্ষণকারীরা। পরে ওই নারী আসমানখালী বাজারের রশিদের দোতলা থেকে নেমে বাড়িতে চলে যান। ঘটনার পর বুধবার সন্ধ্যায় ওই নারী বাদী হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় ৭ জনের নাম উল্লেখসহ আরও একজনকে অজ্ঞাত আসামী করে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। রাতেই শালিকা গ্রামে অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামী মুলামকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এ বিষয়ে আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর কবীর জানান, আজ বৃহস্পতিবার সকালে নির্যাতনের শিকার ওই নারীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে। আর গ্রেফতারকৃত মুলামকে আদালতে সোপর্দ করা হবে। মামলার বাকী আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
Leave a Reply