October 10, 2024, 12:30 am
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারা উপজেলায় ২০১৬ সালে ঘটা স্কুলশিক্ষক মুজিবুর রহমান ও তার ভাই মিজানুর রহমান হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত চার আসামির জামিন বিষয়ে করা আপিল ভিাগে করা রিভিউ আবেদনের ওপর শুনানি শেষ হয়েছে। আগামী ২০ জুন (রোববার) এ বিষয়ে আদেশ দেবে আপিল বিভাগ।
বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০১৬ সালের ২৫ এপ্রিল ভেড়ামার উপজেলার ফকিরাবাদ গ্রামের আশরাফুজ্জামান রতনের ৭ম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়েকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করে একই এলাকার কয়েকজন বখাটে যুবক। এ ঘটনায় আশরাফুজ্জামান রতনের আত্মীয়স্বজনরা ঐ বখাটেদের ¯’ানীয় একটি বাজারে ধরে মারধোর করে। এই ঘটনায় ঐদিন রাতে ঐ উত্যক্তকারীদের পরিবার ও পাশ^বর্তী গোলাপনগর গ্রামের আত্মীয়স্বজ ওবন্ধুবান্ধবরা মিলে ¯’ানীয় মসজিদ থেকে নামাজ শেষ করে আসার পথে ঐ স্কুল ছাত্রীর দাদা স্কুলশিক্ষক মুজিবর রহমান ও মুজিবর রহমানে ভাই মিজানুর রহমাকে আক্রমণ করে। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মুজিবর রহমান ঘটনা¯’লেই নিহত হন। পরে হাসপাতালে মারা যান মিজানুর।
ঘটনায় নিহত স্কুলশিক্ষক মুজিবুর রহমানের ছেলে জাহারুল ইসলাম বাদী হয়ে ভেড়ামারা থানায় মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় ২০১৭ সালের ৯ মে পুলিশ আদালতে চার্জশিট দাখিল করে।
বিচার শেষে ২০১৯ সালের ১ ডিসেম্বর রায় ঘোষণা করা হয়। রায়ে কুষ্টিয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান ৪ আসামিকে মৃত্যুদন্ড এবং ৭ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ দেন।
মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্তরা হলেন, কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার গোলাপনগর গ্রামের কমল হোসেন মালিথা, ফকিরাবাদ গ্রামের কামরুল প্রামাণিক ও সুমন প্রামাণিক এবং একই গ্রামের নয়ন শেখ।
যাবজ্জীবন কারাদন্ড পাওয়া আসামিরা হলেন, ভেড়ামারা উপজেলার ফকিরাবাদ গ্রামের নজরুল শেখ ও আব্দুর রহিম ওরফে লালিম শেখ, একই গ্রামের মাহফুজুর রহমান, হৃদয় আলী, সম্রাট আলী প্রামাণিক, গোলাপনগর গ্রামের জিয়ারুল ইসলাম ও আশরাফ মালিথা।
এছাড়াও মামলায় আরিফ মালিথা নামে এক আসামিকে ১০ বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেন আদালত।
পরে ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে। পাশাপাশি আসামিরা আপিল করেন।
এর মধ্যে যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্ত আসামি নজরুল শেখ ও আব্দুর রহিম ওরফে লালিম শেখ, গোলাপনগর গ্রামের জিয়ারুল ইসলাম ও আশরাফ মালিথা আপিলের সঙ্গে জামিন আবেদনও করেন।
হাইকোর্ট আপিল বিচারাধীন থাকা অব¯’ায় গত বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর এ চারজনকে জামিন দেন।
এই জামিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন করলে চেম্বার জজ আদালত তাদের জামিন আদেশ ¯’গিত করে দেন।
শুনানি শেষে আপিল বিভাগ চেম্বার আদালেতের ¯’গিতাদেশ বহাল রেখে হাইকোর্টে আপিল নিষ্পত্তি করতে বলেন।
আপিল বিভাগের এ আদেশ পুর্নবিবেচনা চেয়ে চার আসামি আবেদন করে।
সে আবেদনের শুনানি বৃহস্পতিবার শেষ হয়।
আদালতে চার আসামির পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সভাপতি খন্দকার মাহবুব হেসেন। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ।
Leave a Reply