October 12, 2024, 8:27 am
জহির রায়হান সোহাগ,চুয়াডাঙ্গা/
চুয়াডাঙ্গার মাখালডাঙ্গায় ঘরে ঢুকে তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করেছে এক যুবক। এতে অভিমানে আত্মহত্যার চেষ্টা করে শিশুটি।
আজ শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে সদর উপজেলার মাখালডাঙ্গা গ্রামে ওই ঘটনা ঘটে। পরে দুপুর ১২টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় শিশুটি। নিহত সুমাইয়া খাতুন (৯) সদর উপজেলার মাখালডাঙ্গা গ্রামের বাগানপাড়ার কৃষক আবু সিদ্দিকের মেয়ে। সে মাখালডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী ছিলো। তার মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে অভিযুক্ত যুবক লোকমান হোসেন।
শিশুটির বাবা আবু সিদ্দিক জানান, ১২ বছর আগে আমাদের এলাকায় সাধু সঙ্গের আসর চলছিলো। আমরা সবাই সেখানে ব্যস্ত ছিলাম। সেখানে পরিচয় হয় কুষ্টিয়া জেলার হালসা ইউনিয়নের নওদাপাড়ার মৃত জামাল হোসেনের ছেলে লোকমান হোসেনের (২৮) সাথে। সাধু সঙ্গের গান গাওয়ার সুবাদে সেই থেকে সে আমার বাড়িতে যাতায়াত করতো। রাতে আমি বাড়ি ছিলাম না। সেই সুযোগে লোকমান আমার মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। পরে সে ঘরের আড়ার সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। খবর পেয়ে বাড়ি ফিরে তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করি। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
প্রতিবেশী আনারুল ইসলাম ও সাদ্দাম হোসেন জানান, শুক্রবার ভোর ৪ টার দিকে আবু সিদ্দিকের বাড়িতে তার মেয়ে সুমাইয়ার চিৎকার শুনে ঘুম ভেঙে যায়। পরে ছুটে গেলে পালিয়ে যায় লোকমান। লোকমান জোরপূর্বক ধর্ষণ করার চেষ্টা করছে এমন অভিযোগ করে সুমাইয়া।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সাইদুজ্জামান জানান, আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে নেয়ার পরও বেঁচে ছিল সুমাইয়া। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সে।
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান জানান, নিহতের মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য নিহতের মরদেহ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। ওই ঘটনায় এখনও কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply