November 30, 2023, 8:02 pm

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন পোর্টাল
সংবাদ শিরোনাম :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন/মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন গুচ্ছ নিয়মেই ভর্তি পরীক্ষা, সব বিশ্ববিদ্যালয়কে গুচ্ছে আসার আহবান ইউজিসির নির্বাচন কমিশন/দলীয় এমপিরা স্বতন্ত্রপ্রার্থী হলে পদত্যাগ করতে হবে না নির্বাচন/আ’লীগের ২৯৮ আসনে নতুন মুখ ১০৪, কুষ্টিয়াসহ দুটি আসন শুন্য, শরীকদলের সিদ্ধান্ত ঝুলে আছে এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ/পাসের হার ৭৮.৬৪ শতাংশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন/খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় ক্ষমতাসীন দলের সর্বশেষ হালচাল ইসরায়েল-ফিলিস্তিন নিয়ে মন্তব্য, জার্মানিতে প্রদর্শনী বাতিল বির্তকিত আলোকচিত্রশিল্পী শহিদুল আলমের ঝিনাইদহ/স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা পিটার হাসের পরিকল্পনায় বাংলাদেশে সরকারবিরোধী সমাবেশ: রাশিয়া কুষ্টিয়ায় হাইওয়ে পুলিশের জব্দকৃত বাসে আগুন

আবার পুরোদমে চলছে জিকে সেচ পাম্প

জাহিদুজ্জামান/ 

ফারাক্কা পানি চুক্তির কারণে ১০দিন অন্তর কিছুটা করে পানি দিচ্ছে ভারত। সেসময়ে চালু থাকছে দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প গঙ্গা-কপোতাক্ষ’র (জিকে) সেচ পাম্প। সবশেষ ২৫ এপ্রিল জিকের দুটি পাম্প দিয়ে পানি সরবরাহ চালু হয়েছে। এ মৌসুমে সেচ নিয়ে আর সমস্যা হবে না বলে আশা করেছে জিকে কর্তৃপক্ষ। যদিও পদ্মায় পানি প্রবাহ কমে যাওয়ায় এ মৌসুমেই দু’ দফায় ১৮ দিন বন্ধ রাখতে হয় সেচ সরবরাহ।

 

১৯৯৬ সালে সাক্ষরিত গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি মোতাবেক নদীতে পানি কমে গেলে ১১ মার্চ থেকে ১০ মে পর্যন্ত ১০ দিন করে একেক দেশ ৩৫ হাজার কিউসেক করে পানি পাবে। অন্যদেশ পাবে অবশিষ্ট পানি। চুক্তি মোতাবেক বাংলাদেশ গ্যারান্টিযুক্ত ৩৫ হাজার কিউসেক করে পানি পাবে ১১-২০ মার্চ, ১-১০ এপ্রিল এবং ২১-৩০ এপ্রিল। বাকী সময়গুলোতে ভারত পাবে গ্যারান্টিযুক্ত ৩৫ হাজার কিউসেক করে পানি। সে অনুযায়ী এখন অর্থাৎ ২১-৩০ এপ্রিল বাংলাদেশের প্রাপ্যতার সময়। ২১ এপ্রিল ফারাক্কা থেকে পানি দেয়ার কথা বলা হলেও বাংলাদেশে পদ্মা নদীতে প্রবাহ বাড়তে সময় লেগেছে আরো ৫দিন। ২৫ এপ্রিল সকালে চালু করা সম্ভব হয়েছে জিকের সেচ পাম্প। কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় অবস্থিত এই পাম্প হাউজের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, এখন আবার পুরোদমে সেচ সরবরাহ করা হচ্ছে। ইনটেক চ্যানেলে ৪ দশমিক ৪ মিটার আরএল (রিডিউসড লেবেল) পানি পাওয়া যাচ্ছে।  তিনি বলেন, ডিসচার্জ চ্যানেলে এখন ১৩শ ৫০ কিউসেক পানি প্রবাহিত হচ্ছে। তিনি বলেন, এই সেচ দিয়েই বোরো ধান ঘরে উঠে যাবে। সামনে বৃষ্টিও এসে যাবে। তখন নদীর পানিও বৃদ্ধি পাবে। কৃষকের আর সমস্যা থাকবে না বলেও আশা করেন তিনি। তবে ১লা মে থেকে ভারত আবার পানি প্রত্যাহার করে নিলে এবং এর মধ্যে বৃষ্টি বা অন্যকোন কারণে গঙ্গায় পানি প্রবাহ না বাড়লে আবার সংকটের আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।

এবছর ২১ মার্চ থেকে চুক্তি মোতাবেক ভারত পানি প্রত্যাহার করে নিলে পদ্মায় পানি প্রবাহ কমতে থাকে। ২৬ মার্চ এসে দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প জিকের প্রধান দুটি পাম্পের পানি সরবরাহ বন্ধ করে দিতে বাধ্য হন কর্তৃপক্ষ। পরে পানি বাড়লে ২ এপ্রিল থেকে স্বল্পমাত্রায় পাম্প চালু করা সম্ভব হয়। ৬ এপ্রিল থেকে পূর্ণ মাত্রায় সেচ সরবরাহ করা হয়।

আবার ১১ এপ্রিল থেকে চুক্তি মোতাবেক ভারত পানি প্রত্যাহার করে নিলে ১৬ এপ্রিল এসে জিকের পানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। সেটি চালু হলো ২৫ এপ্রিল।

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় পদ্মা নদী থেকে চ্যানেলের মাধ্যমে পানি এনে পাম্প করে কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, মাগুরা ও ঝিনাইদহ জেলার কৃষকদের জন্য সরবরাহ করা হয় এই প্রকল্পের মাধ্যমে। প্রকৌশলী মিজানুর রহমান সাংবাদিক জাহিদুজ্জামানকে বলেন, এপ্রিলের দ্বিতীয় ধাপে পাম্প হাউজের ইনটেক চ্যানেলে এবার সবচেয়ে কম উচ্চতায় পানি পাওয়া গেছে। ৩.৯৬ মিটার আরএল পানি এসেছে। কয়েকমাস এ অঞ্চলে বৃষ্টি না হওয়াতেও সমস্যা আরো বেড়েছে বলেও মনে করেন তিনি।

মাঝে মধ্যে সেচ সরবরাহ বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েন কৃষকরা। কুষ্টিয়া সদরের কৃষক মোহাম্মদ আলী বলেন, দেরীতে লাগোনো বোরো ধানে এখনো জিকের পানি দরকার। অনেকেই জিকের সেচ না পেয়ে স্যালো মেশিন দিয়ে মাটির নিচ থেকে পানি তুলে সেচ দিচ্ছেন। এতে খরচ বেশি হয়েছে- জাহিদুজ্জামানকে বলেন কৃষক মোহাম্মদ আলী।

কুষ্টিয়া জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শ্যামল কুমার বিশ্বাস বলেছেন, নিরবচ্ছিন্ন সেচ না পাওয়ায় জিকের আওতাভূক্ত কৃষকদের বোরো ধানের ফলন কমে যাবে। তিনি বলেন, জেলায় এবার মোট ৩৫ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে জিকে সেচের আওতায় আছে ৬ হাজার হেক্টর।

কুষ্টিয়া অঞ্চলের চার জেলায় কৃষকদের জন্য সেচ দিতে গঙ্গা-কপোতাক্ষ (জিকে) সেচ প্রকল্পের পাম্প দুটি গত ১৫ এবং ১৭ জানুয়ারি চালু করা হয়। এই প্রকল্পের আওতায় এবার কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, মাগুরা ও ঝিনাইদহ জেলায় ১৯৪ কিলোমিটার প্রধান খালের মাধ্যমে বোরো, আউশ ও আমন মৌসুম মিলিয়ে ৯৬ হাজার ৬শ ১৬ হেক্টর জমিতে সেচ সুবিধা দেয়ার লক্ষমাত্রা ধরা হয়। অক্টোবর মাস পর্যন্ত সেচ সরবরাহ চালু রাখার কথা রয়েছে।

 

এদিকে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে রাজশাহী, পাবনা, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া অঞ্চলের উপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আগামী শুক্রবার পর্যন্ত এ অবস্থা চলতে থাকবে। এরপর বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন, চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ জামিনুর রহমান।

নিউজটি শেয়ার করুন..


Leave a Reply

Your email address will not be published.

পুরোনো খবর এখানে,তারিখ অনুযায়ী

MonTueWedThuFriSatSun
  12345
27282930   
       
      1
9101112131415
3031     
    123
45678910
11121314151617
252627282930 
       
 123456
78910111213
28293031   
       
     12
3456789
24252627282930
31      
   1234
567891011
19202122232425
2627282930  
       
293031    
       
  12345
6789101112
       
  12345
2728     
       
      1
3031     
   1234
19202122232425
       
293031    
       
    123
45678910
       
  12345
27282930   
       
14151617181920
28      
       
       
       
    123
       
     12
31      
      1
2345678
16171819202122
23242526272829
3031     
     12
3456789
10111213141516
17181920212223
242526272829 
       
© All rights reserved © 2021 dainikkushtia.net
Design & Developed BY Anamul Rasel