October 9, 2024, 10:26 pm
দৈনিক কুষ্টিয়া প্রতিবেদক/
বিধি মেনে বনে প্রবেশ করে বন্যপ্রাণী দ্বারা আক্রান্ত হলে ক্ষতিপূরণ মিলবে। নতুন বিধিমালায় বাঘ, হাতি, কুমির, ভাল্লুক বা সাফারি পার্কে বিদ্যমান বন্যপ্রাণী দ্বারা আক্রান্ত হলে ক্ষতিপূরণের আবেদন করা যাবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। পুরনো বিধিমালায় বাঘ, হাতি ও কুমিরের দ্বারা আক্রান্ত হলে ক্ষতিপূরণ পাওয়ার ব্যবস্থা ছিল। ক্ষয়ক্ষতির ধরন অনুযায়ী ৫০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা পর্যন্ত পাওয়া যাবে এই ক্ষতিপূরণ। আক্রমণে কেউ মারা গেলে তার পরিবারও ক্ষতিপূরণ পাবে। এক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ বাবদ পরিবার পাবে তিন লাখ টাকা।
তবে অনুমতি ছাড়া বনে প্রবেশ করে বা অবৈধভাবে বন্যপ্রাণী শিকার করতে গিয়ে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হলে কোনও ক্ষতিপূরণ পাবে না।
সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয় এসব বিধান রেখে সম্প্রতি ‘বন্যপ্রাণী দ্বারা আক্রান্ত জানমালের ক্ষতিপূরণ বিধিমালা-২০২১’ জারি করেছে। বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন-২০১২ এর বিধান অনুযায়ী নতুন এ বিধিমালা জারি করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) নতুন এ বিধিমালার গেজেট প্রকাশ হয়।
অবশ্য এর আগে ‘বন্যপ্রাণী দ্বারা আক্রান্ত মানুষের জানমালের ক্ষতিপূরণ নীতিমালা-২০১০’ এর আলোকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়টি ছিল। তবে এক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণের হার নতুন বিধিমালার তুলনায় কম ছিল। ক্ষতিপূরণ পাওয়া না পাওয়ার ক্ষেত্রে অনেকগুলো বিষয়ও অস্পষ্ট ছিল।
নতুন বিধিমালায় যেসব ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ পাওয়া যাবে তা হলো- ১. আইনানুগভাবে সরকারি বনাঞ্চলে প্রবেশের অনুমতিপ্রাপ্ত কোনও ব্যক্তি বা ওই বনাঞ্চলের অভ্যন্তরে কর্মরত সরকারি কর্মচারী, ২. সরকারি বনাঞ্চলের বাইরে লোকালয়ে বন্যপ্রাণী দ্বারা আক্রান্ত হলে কিংবা ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সম্পদ ক্ষতিগ্রস্ত হলে এবং ৩. সাফারি পার্কে বিদ্যমান বন্যপ্রাণী দ্বারা আক্রান্ত হলে।
যারা আক্রান্ত হলে ক্ষতিপূরণ পাবেন না/
পূর্বের নীতিমালায় বনে অনুমতি ছাড়া প্রবেশকারীদের ক্ষতিপূরণ না পাওয়ার বিষয়টি ছিল। নতুন বিধিমালায় এর ক্ষেত্রে আরও বেড়েছে। পাশাপাশি কিছু বিষয় স্পষ্ট করা হয়েছে। নতুন বিধিতে যারা ক্ষতিপূরণ পাবেন না তারা হলেণ- ১. সরকারি বনাঞ্চলের অভ্যন্তরে অনুমতি ছাড়া প্রবেশের ফলে কেউ আক্রান্ত হলে, ২. কোনও ব্যক্তি উদ্দেশ্যপ্রণেদিতভাবে কোনও বন্যপ্রাণীকে আঘাত করলে বা আঘাত করতে উদ্যত হলে অথবা অনুমতি ছাড়া অবৈধভাবে কোনও বন্যপ্রাণীকে শিকার বা আটক করতে গেলে ওই বন্যপ্রাণী দ্বারা আঘাত পেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হলে, ৩. বিদেশি নাগরিক হলে, ৪. সীমান্তের ‘নো ম্যানস ল্যান্ড’ এলাকায় আক্রান্ত হলে এবং ৫. সাফারি পার্কের সরকারি ঝুঁকিভাতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা কর্মচারী হলে।
ক্ষতিপূরণের পরিমাণ/
কোনও ব্যক্তির মৃত্যু হলে তিন লাখ টাকা। গুরুতর আহত হলে অনধিক এক লাখ টাকা। সরকারি বনাঞ্চলের বাইরে লোকালয়ে কোনও ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সম্পদ ক্ষতিগ্রস্ত হলে অনধিক ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ পাওয়া যাবে।
ক্ষতিপূরণ পেতে হলে সরকারের নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে হবে। পরে এ সংক্রান্ত কমিটি যাচাই-বাছাই করে ক্ষতিপূরণের প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করার পাশাপাশি পরিমাণ নির্ধারণ কর
Leave a Reply