November 12, 2024, 6:50 am
দৈনিক কুষ্টিয়া প্রতিবেদক/
ব্রিটিশবিরোধী বিপ্লবী বাঘা যতীনের ভাস্কর্যে ভাঙচুরের ঘটনায় গ্রেফতার কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আনিসুর রহমানসহ তিনজনকে তিনদিন করে পুলিশ রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বাকী দুই আসামী হলো- সবুজ হোসেন এবং হৃদয় আহমেদ। তারাও কয়ার বাসিন্দা এবং যুবলীগ নেতা আনিসুর রহমানের অনুসারী। ঘটনার পর আনিসুর রহমানকে দল থেকে বহিস্কার করে কুমারখালী উপজেলা যুবলীগ।
সোমবার বেলা ১১ টার দিকে তাদেরকে কুষ্টিয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কুমারখালী আমলি আদালতে হাজির করে পুলিশ। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। অন্যদিকে আসামীদের পক্ষে জামিন আবেদনও করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জয়দেব বিশ^াস শুনানী শেষে দুপুর ১২টায় বিচারক সেলিনা খাতুন জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তিন দিনের পুলিশ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
কয়া মহাবিদ্যালয়ের সামনে স্থাপিত বিপ্লবী বাঘা যতীনের ভাষ্কর্ষ শক্ত বস্তু দিয়ে আঘাত করে দুর্বৃত্তরা ক্ষতিগ্রস্ত করে গত ১৭ ডিসেম্বর রাতে। পরদিন কলেজ অধ্যক্ষ হারুন অর রশীদ অজ্ঞাত আসামীদের নামে মামলা করেন। পুলিশ ১৮ ডিসেম্বর রাতে কয়া থেকে ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আনিসুর রহমান, সবুজ হোসেন এবং হৃদয় আহমেদকে গ্রেফতার করে। এরপর কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এসএম তানভীর আরাফাত আসামীদের বরাত দিয়ে জানান, কলেজ কমিটিকে ফাঁসানোর জন্য এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
এদিকে বাঘা যতীনের ভাষ্কর্যে আঘাতের ঘটনায় কয়া এলাকায় উত্তেজনা চলছে। ঘটনার মুল আসামি আনিসুর রহমান কয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল ইসলাম স্বপন অনুসারী হিসেবে পরিচিত। কয়া মহাবিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট নিজামউল হক চুন্নু ভাষ্কর্যের ওপর আঘাতের জন্য ইন্ধনদাতা হিসেবে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান জিয়াউল ইসলাম স্বপনকে দায়ী করেন। চুন্নু বলেন, আনিসুরকে দলের পদ নিয়ে দিয়েছেন স্বপনই। সামনে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন থাকায় প্রতিপক্ষ প্রার্থীদের ঘায়েল করতে ভাষ্কর্য ভাঙচুর করার মতো ঘটনা ঘটানো হয়েছে দাবি করেন অ্যাডভোকেট নিজামউল হক চুন্নু।
দেশব্যাপী ভাস্কর্যবিরোধী আন্দোলনের মধ্যে এর আগে ৫ ডিসেম্বর কুষ্টিয়া শহরের ৫ রাস্তার মোড়ে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধুর ভাষ্কর্য ভাঙচুর করে দুই মাদ্রাসাছাত্র।
Leave a Reply