October 9, 2024, 11:13 pm
দৈনিক কুষ্টিয়া প্রতিবেদক/
কুষ্টিয়া শহরের চৌড়হাস বাজারে বেচাকেনা হচ্ছিল গরু-ছাগলের মাংস। পাশেই বেঁধে রাখা একটি গরু দাড়াতে পারছিলো না, শুয়ে পরছিল। অসুস্থ গরুটির গায়ে ক্ষতও ছিলো। এসব দেখে খবর দেয়া হয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে।
রবিবার দুপুরে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জোবায়ের হোসেন চৌধুরী ভ্রাম্যমান আদালত নিয়ে বাজারে আসেন। সাথে উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. নাহিদ হাসান ও উপ সহকারী সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আব্দুর রশীদ। এরইমধ্যে সরিয়ে ফেলা হয়েছে জীবিত অসুস্থ গরুটিকে। তবে, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা মাংসে রক্ত জমাট বাঁধার পরিমাণ, মাংস ও চর্বির রঙ পরীক্ষা করে ঘোষণা দেন মাংস অসুস্থ্য পশুর। এছাড়াও পৌরসভার স্যানিটারি ইন্সপেক্টরের সিল না থাকায় বাজারের মাংস অবৈধ ঘোষণা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক। তারপরই সব মাংস জড়ো করে (৫০ কেজি) জব্দ করা হয়। এসব মাংস বস্তায় ভরে তাতে কেরোসিন ঢেলে মাটির নিচে পুতে ফেলা হয়।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. ওয়াহেদুল ইসলাম বলেন, অসুস্থ পশুর মাংসে অ্যানথ্রাক্সসহ বিভিন্ন রোগের জীবাণু থাকতে পারে। একারণে এগুলো কেরোসিন দিয়ে পুঁতে ফেলা হয় যাতে জীবাণু ধ্বংস হয় এবং অন্যকেউ তুলে ভক্ষণও করতে না পারে।
অভিযানে অসুস্থ পশু জবাই ও মাংস বিক্রির দায়ে তিন জন বিক্রেতার কাছ থেকে মোট ২০ হাজার টাকা অর্থদ- আদায় করেন ভ্রাম্যমান আদালত। এরমধ্যে মাংস বিক্রেতা পলাতক বাবুর স্ত্রী ঝর্ণা বেগমের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা এবং সামিউল আলম ও মো. জসিমের কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা করে আদায় করা হয়। ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক কুষ্টিয়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জোবায়ের হোসেন চৌধুরী জানান, এ ধরণের অভিযান আরো চালানো হবে।
সাংবাদিকের ওপর হামলা:
এদিকে চৌড়হাসে অসুস্থ পশু জবাই ও মাংস বিক্রির সংবাদ সংগ্রহে গেলে কসাই বাবু ও তার স্ত্রী মোছাম্মৎ ঝর্না দলবল নিয়ে বিজয় টিভির কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি ও ক্যামেরাসাংবাদিকের ওপর হামলা করেন। মাংস কাটা ডাসা (ধারালো অস্ত্র) হাতে নিয়ে তেড়ে আসেন তারা। ডাসার উল্টোপাশ দিয়ে ক্যামেরাসাংবাদিক আমিন হাসানকে আঘাত করে। এসময় তারা ক্যামেরা ভাংচুর করে এবং ক্যামেরার ভেতরে থাকা মেমোরিকার্ড বের করে নেয়।
খবর পেয়ে পুলিশ ও অন্য সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্বার করে। আমিন হাসানকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। এ নিয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
কুষ্টিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেছেন।
Leave a Reply