October 5, 2024, 10:14 am
দৈনিক কুষ্টিয়া প্রতিবেদন/
কুষ্টিয়ায় এনআইডি জালিয়াতি করে কোটি কোটি টাকার জমি হাতিয়ে নেয়া চক্রের কয়েকজন চুনোপুটিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। ঘটনার নেপথ্যের রাঘব-বোয়ালরা এখনও নিরাপদে রয়েছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহঅল সুত্র। ইতোমধ্যে জমির ক্রেতাকেও তুলে নিয়েছে পুলিশ। তবে কাহিনীর শেষ হয়নি , বের হয়ে আসেনি মুল হোতারা।
এখন পর্যন্ত যারা গ্রেফতার হয়েছে তারা হলো শহরের আড়ুয়াপাড়া এলাকার খন্দকার আবুল হোসেনের ছেলে ওয়াদুদ ওরফে মিন্টু খন্দকার, কুমারখালী উপজেলার শালঘর মধুয়ার আতিয়ারের ছেলে মিলন হোসেন ও তার দুই বোন ছোনোয়ারা খাতুন ও জাহানারা খাতুন। তবে বিভিন্ন সুত্র দাবি করছে যে এরা সবাই একেবারেই চুনোপুটি। সামান্য কিছু অর্থের বিনিময়ে এরা টিপসহি দিয়েছে। যাদের পকেটে সিংহভাগ অর্থ ঢুকেছে তারা রয়েছে ধরাছোঁয়ার আড়ালে। কারন বলা হচ্ছে এ চক্রের সঙ্গে কুষ্টিয়া শহর যুবলীগের আহ্বায়ক আশরাফুজ্জামান সুজনের নাম উঠে আসায় শহর যুবলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় যুবলীগ। সাবেক এই ছাত্রদল নেতার উপর বিশেষ নেতাদের আর্শীবাদ রয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। যার কারনে তাকে গ্রেফতার করতে ভাবতে হচ্ছে। তবে এ নেতার নামাই যথেষ্ট নয়। কারন নামা এসেছে আরো অনেকের। কারন টাকা গেছে অনেকের পকেটেই।
জানা গেছে, ঐ জালিয়াত চক্রটি কুষ্টিয়া শহরের মজমপুর মৌজার তিন কোটি টাকা মূল্যের ২২ শতক জমির ভুয়া মালিক সেজে মাত্র ৭৭ লাখ টাকায় একজনের কাছে বিক্রি করে দেয়। তবে ওই জমির প্রকৃত মালিক শহরের থানাপাড়া এলাকার বাসিন্দা এমএম ওয়াদুদ ও তার শরিকরা। জালিয়াত চক্রটি ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করে রাতারাতি অন্যের জমির মালিক বনে যান। চক্রটি এখানেই থেমে থাকেনি, তারা শহরের এনএস রোডে আবদুল ওয়াদুদের দোতলা বাড়িসহ কয়েক কোটি টাকা মূল্যের সম্পত্তিও একই কৌশলে বিক্রির চেষ্টা করছিল।
পুলিশ জানায়, চক্রটি শহরের মজমপুর, চৌড়হাস ও বাহাদুরখালী মৌজার জমি জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া দলিল তৈরি করে আত্মসাতের চেষ্টা করে।
ভুক্তভোগী কুষ্টিয়ার বিভিন্ন নেতা, ক্ষমতাধারী ও সুশীল সমাজের বহু লোকের কাছে যেয়েও ফল না পেয়ে ঢাকার এক সাংবাদিকের কাছে বিষয়টি জানান। ঐ সাংবাদিক বিষয়টি নিয়ে একটু গবেষণা করে সত্যতা পেয়ে অন্য মিডিয়ার বেশ কয়েকজন সাংবাদিককে সাথে নিয়ে কুষ্টিয়ায় এসে প্রতিবেদন তৈরি করে। তারা বিষয়টি নিয়ে জেলার শীর্ষ বেশ কয়েকজন ক্ষমতাবান নেতার বক্তব্য নিতে চাইলেও এসব নেতারা তা দেননি বলে জানা যায়।
এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্য সদস্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে পুলিশ জানায়। পুলিশের কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তা আশাবাদ জানান যে কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না।
Leave a Reply