October 12, 2024, 8:23 am
দৈনিক কুষ্টিয়া প্রতিবেদন/
মুসলমান সম্প্রদায়ের সবচে বড় ধর্মীয় উৎসবের অন্যতম ঈদ আজ। এই ঈদের তাৎপর্য ত্যাগ আর উৎসর্গের আদর্শে মহিমান্বিত। এদিন সারা বিশে^র ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা ত্যাগের মহিমায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ঈদের নামাজ শেষে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি আদায়ে পশু কোরবানি দিয়ে থাকেন।
ধর্মীয় মিথ অনুযায়ী, পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে চার হাজার বছর আগে আল্লাহর নির্দেশে হজরত ইব্রাহিম (আ.) তার সবচেয়ে প্রিয় বস্তু নিজ সন্তান হজরত ইসমাইল (আ.)-কে কোরবানি করার উদ্যোগ নেন। কিন্তু আল্লাহর কুদরতে হজরত ইসমাইল (আ.)-এর পরিবর্তে একটি দুম্বা কোরবানি হয়। হজরত ইব্রাহিম (আ.)-এর এই ত্যাগের মনোভাবের কথা স্মরণ করে প্রতিবছর মুসলমানরা কোরবানি করে থাকেন। জিলহজ মাসের ১০ তারিখ পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হলেও ১০, ১১ ও ১২ তারিখের যে কোনো দিন পশু কোরবানি দেয়া যায়। সে হিসেবে রোব ও সোমবারও কোরবানি করা যাবে।
তবে এবার এই ঈদ এসেছে এক ভিন্ন প্রেক্ষাপটে। করোনা নামক এক মহামারির তান্ডবে বিপর্যস্ত সারা বিশে^র প্রায় সকল দেশের বিভিন্ন প্রান্তের অগণিত মানুষ। তাদের জীবনের ওপর নেমে আসা এ দুঃসময়ের অন্ধকার কবে কাটবে, তাও অজানা। এই একই দূর্যোগে এসেছিল মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর। ভাইরাস আতঙ্কের সেই সময়ের ঘরবন্দি দশা ঘুচলেও এখনও প্রতিদিন আক্রান্ত হচ্ছেন বহু মানুষ।
বাংলাদেশেও এই করোনা গত মার্চ থেকে শুরু হয়। এখন পর্যন্ত তিন হাজারের বেশি মানুষের প্রাণ কেড়েছে এটি এদেশে। লাখো মানুষ আক্রান্ত। লাখো মানুষের জীবিকাহীন। রোজগার হারিয়েছে লাখ লাখ মানুষ। এর মধ্য দিয়েই এই ঈদ। তারপরও জীবন চলবে। মানুষ ঈদও করবে। হয়তো পরিসর অনেক বেশী সীমিত হবে। হোক না সীমিত। একে অপরে মিল মহব্বতের সানাই হয়ে উঠুক।
Leave a Reply