October 15, 2024, 9:20 am
দৈনিক কুষ্টিয়া স্পোর্টস ডেস্ক/
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) দেশের চারটি জেলার ভেন্যুকে নির্বাচন করে এই তুণমূল ফুটবলারদের নিয়ে কাজ করার পরিকল্পনা করেছে। রোববার (১২ জুলাই) বাফুফে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই কার্যক্রমের বিস্তারিত জানিয়েছে। সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ লিখিত এক বক্তব্যের মাধ্যমে বিস্তারিত জানিয়েছেন। তার লিখিত বক্তব্যটি তুলে ধরা হলো:
‘বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন কর্তৃক আমাদের টেকনিক্যাল ডিপার্টমেন্টের আওতায় আমরা তৃণমূল ফুটবলে চারটি ভেন্যুতে গ্রাসরুট অ্যাক্টিভিটিজ সম্পাদন করবো। যে ব্যাপারে ইতোমধ্যেই বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন কর্তৃক ডিসিশন নেওয়া হয়েছে যে সেই চারটি ভেন্যু হচ্ছে নীলফামারী, মাদারীপুর, ফেনী ও ঢাকা। এই চারটি ভেন্যুতে, বেসিক্যালি প্রতি ভেন্যুতে ৬টি ব্যাচ বা ৬টি গ্রুপকে ফাইনালাইজ করা হবে।
‘সেখানে ব্যাচ গুলো হবে ছেলেদের জন্য ৪টি গ্রুপ এবং মেয়েদের জন্য ২টি গ্রুপ। প্রতি ভেন্যুতে টোটাল ৬টি ব্যাচ। ছেলেদের যে ৪টি ব্যাচ হবে সেখানে ৪টি এইজ ক্যাটাগরি থাকবে। সেই এইজ ক্যাটাগরিগুলো হবে ৮ বছর থেকে ১৮ বছর বয়সের মধ্যে এবং মেয়েদেরও ২টি মাত্র ব্যাচ থাকবে এবং তাদেরও বয়স হবে ৮-১৮ এর মধ্যে (৮-১৩ বছর বয়সী ১টি এবং ১৩-১৮ বছর বয়সী অপর ১টি ব্যাচ)। প্রতি ব্যাচে ছেলেদের সর্বোচ্চ ৫০ জন এবং মেয়েদের ৩০ জন করে খেলোয়াড় থাকবে।’
‘এই ৬টি ব্যাচ সপ্তাহে ট্রেনিং করবে বাফুফে অ্যাপোয়েন্টেড কোচের অধীনে। প্রতিদিন সর্বোচ্চ ৩টি করে ব্যাচ ট্রেনিং কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করবে। অর্থাৎ প্রত্যেকটি ব্যাচকে সপ্তাহে এভরি অল্টারনেট ডেতে ট্রেনিং কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে হবে। এভাবে করে দেখা যাবে দুটো ব্যাচ শনি-সোম-বুধ, অপর দুটো ব্যাচকে রবি-মঙ্গল-বৃহস্পতি এভাবে করে ট্রেনিং প্রদান করা হবে। এ জন্য আমাদের যে শুক্রবার দিনটি বাকি রয়েছে, সেই শুক্রবার দিনটা দেখা যাবে আমাদের সমাজের সুবিধাবঞ্চিত যারা রয়েছে অথবা স্পেশালি যারা চ্যালেঞ্জড রয়েছে তাদের জন্য শুক্রবার দিনটা ডেডিকেটেড থাকবে।’
সেইদিন বাফুফের অ্যাপোয়েন্টেড কোচ নির্দিষ্ট ভেন্যুতে তাদেরকে নিয়ে কাজ করবেন যারা সমাজের সুবিধাবঞ্চিত বা স্পেশালি চ্যালেঞ্জড যারা রয়েছেন তাদেরকে নিয়ে। এ বিষয়গুলোতে কনফার্ম করার জন্য এই ৬টি ব্যাচে সর্বোচ্চ ২৬০ জন যে খেলোয়াড় রয়েছে তাদেরকে নিয়ে বাফুফে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বছরব্যাপী তৃণমূলের কার্যক্রমের অংশ হিসেবে তাদেরকে বাফুফে অ্যাপোয়েন্টেড কোচ দিয়ে নির্দিষ্ট ভেন্যুতে তাদেরকে ট্রেনিং প্রদান করা হবে।’‘বাফুফে কর্তৃক যে চারটি ভেন্যু নির্ধারণ করা হয়েছে আমাদের একটা উদ্দ্যেশ্য থাকবে যে, আমরা যে ৪টি ভেন্যুকে ২০২০ সালে সিলেক্ট করেছি বা প্রাথমিকভাবে নির্ধারণ করেছি আমাদের একটা স্ট্র্যাটেজিক অবজিকটিভ রয়েছে আগামী ৩ বছরের মাথায় আমরা পর্যায়ক্রমে এই ৪টি ভেন্যুকে কিভাবে ১০টি বা ১২টি ভেন্যুতে উন্নীত করতে পারি। এই ৪টি ভেন্যুর সাথে আগামী বছর হয়তোবা আরো ২/৩টি ভেন্যু যোগ হবে এর পরের বছর যদি আরো ৩/৪টি ভেন্যু যোগ হয় সেভাবে ৩ বছরের মাথায় কিভাবে ১০টি ভেন্যুতে পৌঁছাতে পারি তার একটা উদ্দেশ্য থাকবে।’‘তারপর ৩ বছর পর আমরা টোটাল যে ১০টি জেলাতে বা ১২টি জেলাতে কাজ করবো তা ইভালুয়েট করে পরবর্তী পন্থা নির্ধারণ করা হবে। কোভিড-১৯ সংক্রান্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কাছ থেকে সবুজ সংকেত প্রাপ্তির পর গ্রাসরুট ট্রেনিং এর জন্য খেলোয়াড় বাছাইয়ের লক্ষ্যে রেজিস্ট্রেশনের তারিখ ঘোষণা করা হবে। এর আগে আমরা একটা ডেডলাইন দেবো। যে ডেডলাইনের মধ্যে যারা আগ্রহী তাদেরকে রেজিস্ট্রেশেন করতে হবে।’সেই ট্যালেন্ট হান্টের মাধ্যমে যারা ট্যালেন্টেড তাদের মধ্যে যারা বেস্ট তাদেরকে নিয়ে তৃণমূলের কার্যক্রম শুরু করবো। সম্ভবত সেপ্টেম্বর-অক্টোবর বা অক্টোবর-নভেম্বর নাগাদ কাজ শুরু হবে। তবে তার আগে কোচ অ্যাপোয়েন্টমেন্ট, মাঠের সুবিধা নিশ্চিত করা ও অন্যান্য দাপ্তরিক কাজ সম্পন্ন করবো।’
Leave a Reply