October 9, 2024, 7:41 pm
ফা’দ শাহরিয়ার সিদ্দিকী/
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার পদ্মা নদীতে দুইটি নৌকা ডুবিতে নিখোঁজ চার জনের এখন হদিস পাওয়া যায়নি। ঘটনায় ৯ জনকে অসু¯’ অব¯’ায় উদ্ধার করে ¯’ানীয়রা।
মঙ্গলবার (০৭ জুলাই) সকাল ৯টার দিকে সাদিপুর ইউনিয়নের ঘোষপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিখোঁজ ব্যক্তিরা হলেন- জেলার ভেড়াামারা উপজেলার জামালপুর গ্রামের হারান শেখের ছেলে জুয়েল শেখ(৩০), নজুমুল হকের ছেলে জাকির হোসেন (২৫), আব্দুল জলিলের ছেলে শরিফুল ইসলাম (৩১) ও রঞ্জিতের ছেলে জুবা (৩২)।
উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন- একই এলাকার তুকা প্রামাণিকের ছেলে জহির (৩৩), কটার ছেলে বিপুল (৩০), আমজাদের ছেলে বকুল (৪০), শাহজামালের ছেলে সাজু (৩৫), ফজলের ছেলে তদে (৩২), আগার ছেলে সুলতান (৩০), মানিকের ছেলে মনসুর (৩২), খবিরের ছেলে জামিন (৩০) ও শামিমের ছেলে রিফাত (১৫)। এরা সবার পেশায় কৃষক ও দিনমজুর।
জানা গেছে, সকলেই ভেড়াামারা থেকে ইঞ্জিনচালিত করিমনে কুমারখালীর ঘোষপুর আসে। তারা উলু ঘাস কাটতে পদ্মার মাঝখানে চরে যেতে দুইটি ডোঙা নৌকা ভাড়া করে। ঐ নৌকা দুটিতে ৪ জন ও ৯ জনে ভাগ হয়ে তারা উত্তাল পদ্মা পাড়ি দিয়ে চরে পৌঁছানের চেষ্টা করে। কিš‘ মাঝখানে প্রবল ¯্রােতে প্রথমে ৯ জনের নৌকাটি ডুবে যায়। ডুবন্তরা চারজনের নৌকায় চড়ার চেষ্টা করলে সেটি ও ডুবে যায়। তাদের মধ্যে ৯ জন সাঁতার কেটে পাড়ে এসে অসু¯’ হয়ে পড়ে। ¯’ানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে। অপরদিকে নিখোঁজ হয় চারজন।
নৌকা ডুবির শিকার ও বেঁচে যাওয়া জামালপুর গ্রামের বাসিন্দা এবং ওই নৌকায় থাকা মনসুর আলী জানায় নদীর মাঝখানে নৌকাটি হঠাৎ ডুবে যায়। মাঝিসহ তারা ৯ জন সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও বাকি ৪ জন উঠতে পারেননি।
সাদিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়্যারম্যান তোফাজ্জেল হোসেন বলেন, উদ্ধারকৃতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পর সু¯’। নিখোঁজ ব্যক্তিদের উদ্ধারের জন্য কুষ্টিয়া ও পাবনা ফায়ার সার্ভিস কাজ করছে।
কুমারখালী ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা অমিয় কুমার বিশ্বাস জানান, যেখানটাই ঘটনা ঘটেছে সেটি রিমোট এলাকা।
পাবনা ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক সাইফুজ্জামান ঘটনা জানার পরপরই ফায়ার সার্ভিস পাবনার টিম ঘটনা¯’লে পৌঁছে যায়। ¯’ানীয়দের সহায়তায় উদ্ধার অভিযান শুর“ করেছেন তারা। তবে দুপুর সাড়ে ৩টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কাউকে উদ্ধার করা যায়নি।
Leave a Reply