October 10, 2024, 1:15 am
সাদিক হাসান রোহিদ/
গত বছরও এই দিনটিতে শহরের নবাব সিরাজু-দ্দৌলা সড়ক ছিল রমরমা ৷ শহরের প্রধান সড়ক-সরণির দু পাশে সাড়ি সাড়ি বসে যেত হাজার দোকান হাজার পসরা নিয়ে।
আসলে রথযাত্রার দিনটাই থাকে অন্যরকম। এটি হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় হলেও বাংলা ভুখন্ডে সব উৎসবই বরাবরই সবার হয়েছে। দিনটিকে শুভ বলেই ধরা হয় ৷ কিন্তু, এবারের রথযাত্রার দিনটি বড় বিবর্ণ, মলিন, করোনার দাপটে সব দোকান-পাটের ঝাঁপ বন্ধ ৷ কোনদিকেই নেই উৎসবের আমেজ। লোক সমাগম নিষিদ্ধ আছেই।
সকালে সিরাজু-দ্দৌলা সড়কে দেখা যায় দু একটা দোকান বসেছে। মুড়ি, খই, বাতাসা, ছাঁচ খাজা ইত্যাদি নিয়ে। এরকম খুঁজে পাওয়া গেল জনা দশেক মতো। হয়তো বেলা বাড়লে আরো দু’একজনের দেখা মিলতে পারে। তবে মানুষের সেই শোড়গোল নেই। উৎসব আমেজ তো নেইই।
কুষ্টিয়ার রথে যেটি দেখা যায় তা হলো এখানে ধর্মীয় রেশের পাশাপাশি পণ্য মেলা হয়। ধর্মীয় আবহাওয়াটি তার মতো করেই চলে। তবে পণ্য মেলাটি সকল ধর্ম-বর্ণ-জাতির মানুষকে আগাগোড়াই আকর্ষিত করে। দিন ধরে নারী পুরুষ নির্বিশেষে এসব দৈনন্দিনের ব্যবহৃত পণ্য সংগ্রহ করে ঘরে ফেরে।
কথা হয় জেলার সবথেকে বড় মন্দির শহরের নবাব সিরাজু-দ্দৌলা সড়ক ঘেঁষে গড়ে উঠা গোপীনাথ জিউর মন্দিরের সভাপতি ও কুষ্টিয়া জজ কোর্টের পিপি এডভোকেট অনুপ কুমার নন্দীর সাথে। তিনি জানান বাস্তবতাকে মেনে নিয়েই সবকিছু করতে হবে। মানুষের জীবন প্রথম তারপর অন্যকিছু। অনুপ জানান সাধারন ধর্মীয় বিষয়াবলী রীতিমাফিক মন্দিরেই অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন কুষ্টিয়ার এই রথ উৎসব এ এলাকার সবচে বড় উৎসব। এখানে প্রচুর লোকসমাগম হয়। উৎসব করতে গেলে বিপর্যয় নেমে আসবে।
কথা বলেন স্কুল শিক্ষিকা শর্মিলা গুহ বলেন এই উৎসবের নানান দিক রয়েছে। সবাই মিলে উৎসবে থাকার কারনে রথে মজা হয় আলাদা রকমের। এবারে করোনার কারনে তা হলো না।
সরকারী চাকুরে রবিউল হোসেন জানান প্রতি বছরই রথ থেকে তার পরিবার দৈনন্দিন প্রয়োজনের অনেক কিছু কেনাকাটা করে থাকেন।
Leave a Reply