December 13, 2024, 2:29 pm
দৈনিক কুষ্টিয়া প্রতিবেদক/
দেশের স্থলপথে রফতানি বাণিজ্যের অন্যতম কেন্দ্র বেনাপোলে গত তিন মাস ধরে সকল প্রকার রফতানি বন্ধ রয়েছে। বাংলাদেশ থেকে কোন পণ্য ভারতে যাচ্ছে না। কিন্তু একই সময়ে আমদানি অব্যাহত আছে।
নিয়মিত বাণিজ্যে এ বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ৫০ ধরনের পণ্য ভারতে রফতানি হয়। রফতানি পণ্যের মধ্যে পাট ও পাটজাত পণ্য, তৈরি পোশাক, কেমিক্যাল, টিস্যু, চালের কুঁড়া, মেহগনি ফল, মাছ, অক্সিজেন প্রভৃতি।
স্থলপথে রফতানি বাণিজ্যের প্রায় ৭০ শতাংশই হয় বেনাপোল বন্দর দিয়ে। প্রতি বছর যে পরিমাণ পণ্য ভারতে রফতানি তার বণিজ্য মুল প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু এই তিনি মাসে সকল ধরনের রফকানি বন্ধ থাকায় প্রায় দুই হাজার কোটি টাকার ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে একাধিক বৈঠক হলেও সচল হয়নি বাণিজ্য। সিএন্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ বলছেন সরকারীভাবে উদ্যোগ নিয়ে বিষয়টির সুরাহা করতে।
জানা যায়, করোনা সংক্রমণের কারনে ২২ মার্চ থেকে ভারত সরকারের একক নিষেধাজ্ঞায় বন্ধ হয়ে যায় সকল আমদানি, রফতানি বাণিজ্য । পরে গত ৭ জুন এ পথে ভারতীয় পণ্যের আমদানি বাণিজ্য শুরু হলেও নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে ভারতীয়রা বাংলাদেশের রফতানি বাণিজ্য বন্ধ করে রেখেছে।
বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক মামুন কবীর তরফদার মনে করেন যে প্রক্রিয়ায় আমদানি চলছে সে প্রক্রিয়ায় রফতানি শুরু করতে কোন বাধা নেই। তিনি জানান বিষয়টি দেশের দেশের উচ্চ মঞর অবগত। এই কর্মকর্তাা আশা করেন শীঘ্রই রফতানি প্রক্রিয়া শুরু করা যাবে।
ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক মতিয়ার রহমান জানান বাণিজ্য সচলের জন্য ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। এ নিয়ে তারা একটি এসওপি পাঠিয়েছে। সেগুলো নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।
বেনাপোল সিএন্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ বলছেন বন্দরে প্রচুর শিল্প কারখানার পণ্য আটকা পড়ে আছে। যেহেতু এ পথে আমদানি শুরু হয়েছে সেহেতু রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে আলোচনা করলে রফতানি বাণিজ্যও চালু হবে। তবে এজন্য প্রয়োজন সরকারী উদ্যোগ।
Leave a Reply