October 10, 2024, 1:55 am
দৈনিক কুষ্টিয়া প্রতিবেদক/
কুষ্টিয়ায় নতুন করে আরো ১২ জন করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ২৫৩। কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে ১৬ জুন কুষ্টিয়া জেলার ১৩৪ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়।
এর মধ্যে ১২ জনকে আক্রান্ত বলে সনাক্ত করা হয়েছে।
নতুন আক্রান্তদের মধ্যে কুষ্টিয়া জেলার সদর উপজেলায় ৭ জন ও ভেড়ামারা উপজেলাতে ৫ জন।
সদর উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে দুইজন চৌড়হাস, একজন কুঠিপাড়া, একজন কালীশংকরপুর, একজন নিশান মোড়ের বাসিন্দা। ভেড়ামারা উপজেলায় ৫ জনের মধ্যে দুইজন ১২ মাইল, ১ জন গোলাপনগর, ১ জন পৌরসভা ও ১ জন ফারাকপুরের বাসিন্দা।
এখন পর্যন্ত উপজেলা ভিত্তিক করোনা শনাক্তের হার হলো দৌলতপুর ৩৪, ভেড়ামারা ৪০, মিরপুর ২০, সদর ১১৩, কুমারখালী ৩৪, খোকসা ১৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ রোগী ১৯৪, নারী ৬১।
সুু¯্য’ হয়ে ছাড় পেয়েছেন মোট ৫৯ জন।
অন্যদিকে জেলায় মোট ২৮১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। অন্য জেলার মধ্যে মেহেরপুরের ১টি, ঝিনাইদহ জেলার ১৪টি নমুনা (১টি ফলোয়াপ সহ), চুয়াডাঙ্গার ৪টি (১ টি ফলোয়াপসহ) পজিটিভ বলে সনাক্ত হয়।
এদিকে এ অবস্থায় কুষ্টিয়ায় রেড জোন ঘোষিত এলাকাগুলোতে লকডাউন কার্যকর হবে বৃহস্পতিবার থেকে। এ বিষয়ে মঙ্গলবার (১৬ জুন) কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। কুষ্টিয়া পৌর এলাকার ৮টি ওর্য়াড ও সদর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নকে করোনা রেড জোন ঘোষণা করা হয়েছে। রেড জোনের মধ্যে পড়েছে জেলার ভেড়ামারা ্উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নও।
উপ-পরিচালক স্থানীয় সরকার বিভাগ কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের কার্যালয় মৃণাল কান্তি দে’ন সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (প্রশাসন) ওবায়দুর রহমান, কুষ্টিয়া পৌরসভার প্যানেল মেয়র মতিয়ার রহমান মজনু, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান, সেনাবাহিনীর প্রতিনিধি, স্বাস্থ্য বিভাগের প্রতিনিধি ও বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলরবৃন্দ।
যেসব এলাকায় লাখে ৩০ জনের বেশি সংক্রমিত ব্যক্তি থাকবেন, সেসব এলাকাকে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ বা রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করার নিদের্শনা দেয়া হয়েছে।
এসব এলাকায় কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প উন্মুক্ত থাকতে পারে, তবে শহর অঞ্চলে এই ধরনের কর্মকান্ড চালানো যাবে না। এই জোনের আওতায় কর্মজীবীরা বাড়ি থেকে কাজ করতে পারবেন, বাইরে যেতে পারবেন না। কোনো ধরনের জনসমাগমও করা যাবে না। কেবল প্রয়োজনীয় পণ্য ও পরিসেবার কাজেই বাইরে চলাচল করা যাবে। রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত গ্রামীণ এলাকায় মুদির দোকান ও ফার্মেসি খোলা রাখা গেলেও কোনো ধরনের রেস্তোরাঁ, চায়ের দোকান ও টং দোকান খোলা রাখা যাবে না। গ্রামীণ এলাকায় খোলাবাজার চালানো গেলেও শহরে কোনোভাবেই বাজার খোলা রাখা যাবে না। এক্ষেত্রে হোম ডেলিভারির প্রস্তাবনা করা হয়েছে নগর এলাকার জন্য। মুদির দোকান, বাজার ও ফার্মেসির ক্ষেত্রেও হোম ডেলিভারি পদ্ধতির প্রস্তাবনা করা হয়েছে।
রেড জোন চিহ্নিত এলাকায় মসজিদ ও ধর্মীয় স্থানে কেবল খাদেম বা কর্মচারীরাই থাকতে পারবেন বলে প্রস্তাব এসেছে। এছাড়াও রেড জোন এলাকায় টপআপ ও এমএফএস সেবা খোলা রাখা গেলেও ব্যাংকিং খাতে কেবল এটিএম বুথ খোলা রাখার কথা বলা হয়েছে। যদি এই জোনে কোনো কৃষি বা ফার্মিং থাকে, তবে এসব জায়গায় যারা যুক্ত তাদের কাজের পরিষেবা বৃদ্ধি করা হতে পারে শিফট ভিত্তিতে। এছাড়া রোগী ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে রেড জোনে স্থানীয়ভাবে ২৪ ঘণ্টা নমুনা সংগ্রহের জন্য পর্যাপ্ত বুথ স্থাপন করার প্রস্তাবনা দেয়া হয়েছে। বিশেষত দারিদ্র্য জনগোষ্ঠীর জন্য এই পরিষেবা চালু রাখার প্রস্তাবনা থাকছে।
Leave a Reply