October 9, 2024, 9:46 pm
দৈনিক কুষ্টিয়া প্রতিবেদক/
রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে পণ্যবাহী ট্রাক ঠেকিয়ে চাঁদা তুলছে এরা কারা? এটা বেশ কিছুদিন বন্ধ থাকার পর আবার শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে। এদের গায়ে কমিউনিটি পুলিশের পোশাক। এরা ট্রাক বুকিং কাউন্টারে সামনে পালাক্রমে অবস্থান নিয়ে এ কাজ করছে।
অভিযোগ পাওয়া গেছে, দৌলতদিয়া ঘাটে আগত মাছ, মুরগী, পান, কলা ও ফলের গাড়ী থেকে ৩/৫শত টাকা আদায় করে চলেছে। এসব চিহ্নিত দালালদের বিরুদ্ধে বিগত সময়ে পণ্যবাহী ট্রাক থেকে চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে। অনেকের বিরুদ্ধে মামলাও রয়েছে। কমিউনিটি পুলিশের পোশাক পড়া সাইমদ্দিন মন্ডল ৬নং ওয়ার্ড যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ইব্রাহিম খলিল ৪নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক।
বাংলাদেশ অভ্যান্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাট শাখার সহ-ব্যবস্থাপক মো. মাহাবুব হোসেন জানান, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুট দিয়ে ২৪ ঘণ্টায় যাত্রীবাহী ৬ -৭’শ বাস শত, ৭-৮শত ট্রাক এবং ১১-১২শত প্রাইভেটকার ও মাক্রোবাস নদী পারাপার হয়ে থাকে।
যাত্রীবাহী বাস ও প্রাইভেটকার-মাক্রোবাস থেকে কোন প্রকার চাঁদা আদায় করা না হলেও প্রতি ট্রাক থেকে গড়ে ৩শত টাকা চাঁদা নেওয়া হয়। সেই হিসেবে বিভিন্ন প্রকার ৮শত ট্রাক থেকে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ২ লাখ ৪০ হাজার চাঁদার টাকা আয় হয়। এই টাকাগুলো বিভিন্ন ভাগে ভাগ হয়ে থাকে। যারা কমিউনিটি পুলিশের পোশাক পড়ে টাকাগুলো নিচ্ছে তারা প্রতিদিন ৫-৬শত টাকায় দিনমুজুর হিসেবে কাজ করে থাকেন।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আশিকুর রহমান বলেন, কাউন্টারে কমিউনিটি পুলিশের ব্যাপারে আমার কাছে কোনো তথ্য নেই। তাদের এখানে কে দিয়েছে আমি জানি না।
কমিউনিটি পুলিশের পোশাক পড়া মুসা মৃধার কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, রাজবাড়ী ট্রাফিক পুলিশ আমাদের এখানে রেখেছে। যে কারণে আমরা এখানে আছি। আমরা প্রতি ট্রাক চালকদের কাছ থেকে ১০/২০ টাকা নিয়ে থাকি।
সাইমদ্দিন মন্ডল জানান, পুলিশের সহযোগিতার জন্য আমরা কাজ করছি। পুলিশ আমাদের এই পোশাক দিয়েছে। আমরা কোন চাঁদাবাজ নই।
রাজবাড়ী ট্রাফিক পুলিশ ইন্সেপেক্টর মো. রফিকুল ইসলাম জানান, চাঁদাবাজি বন্ধ করতে কাউন্টারের সামনে কমিউনিটি পুলিশ রাখা হয়েছে। এই কমিউনিটি পুলিশ পণ্যবাহী ট্রাক চালকদের সহযোগিতা করবে। বিনিময়ে চালকরা খুশি হয়ে ১০/২০ টাকা দিলে সেই টাকা দিয়ে তারা চলবে।
দৌলতদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মোশারফ হোসেন প্রামানিক জানান, দৌলতদিয়া ট্রাক বুকিং কাউন্টারে কোন চাঁদাবাজি আমরা করতে দেবো না। যদি কেউ করে তার দায় আমরা নিতে পারি না। বরং তাকে আইনের হাতে তুলে দেওয়ার সহযোগিতা আমরা করবো।
গোয়ালন্দ উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফকীর আমজাদ বলেন, ট্রাক বুকিং কাউন্টারে চাঁদাবাজি হওয়ার ব্যাপারে কোন আপোশ নেই। যারা চাঁদাবাজি করবে তার প্রতিরোধ আমরা করবো।
Leave a Reply