October 15, 2024, 10:00 am
শাহনাজ আমান//
প্রতিবছর এই দিনে সরব হয়ে উঠে কুষ্টিয়ার সংস্কৃতি অঙ্গন ; ভোরের আলো ফুটতেই তাঁর স্মৃতিধন্য কুঠিবাড়ি, টেগরলজ মুখরিত হয়ে ওঠে রবীন্দ্রভক্ত মানুষদের আনাগোনায়। রবীন্দ্র সুরের মূর্ছনায়, কবিতা, গানে নাটকে দিনভর বা তারও বেশী কয়েকদিন ভরপুর থাকে এ দুটি জায়গা। এই রবীন্দ্র চর্চা এই জেলার মানুষকেও দিয়েছে এক অনন্য উচ্চতা ; এক অনন্য রুচিবোধ; এক অনন্য সাংস্কৃতিক মমন-মাত্রা। রবীন্দ্রনাথের স্মৃতি বিজড়িত এই কুষ্টিয়া এজন্য সবার কাছে অন্যরকম মর্যাদার আসনে সমাদৃত।
কিন্তু এবার সবই বয়ে যাচ্ছে এক নির্মম শুনশান নিরবতার মধ্য দিয়ে। সকাল থেকে শিলাইদহের কুঠিবাড়ি বা শহরের কোলে টেগরলজে কোন কলরব নেই; নেই মানুষের পদচারনা, নেই সুরের মূর্ছনা। বিশ্বব্যাপী মরণব্যাধী করোনার করাল গ্রাস যে বিভীষিকার জন্ম দিয়েছে তারই প্রভাবে এই বিচ্ছিন্নতা। অথচ এই রবীন্দ্রনাথই মানুষে মানুষে মিলনের কথা বলেছেন, মানুষে মানুষে বিচ্ছিন্নতার কথা নয়।
রীন্দ্রজয়ন্তীতে কুষ্টিয়ার শিলাইদহের কুঠিবাড়িতে সরকারী অনুষ্ঠান হয়। অন্যদিকে শহরের টেগরলজে আয়োজন থাকে কুষ্টিয়া পৌরসভার। এসব অনুষ্ঠানে বড় অংশের কারিগরের ভুমিকা থাকে রবীন্দ্র সংগীত সম্মিলন পরিষদ,কুষ্টিয়ার কলাকূশলীদের।
রবীন্দ্রপ্রেমী কবি সাহিত্যিক হাসান টুটুল বললেন পরিস্থিতি কোনভাবেই কোন অনুষ্ঠানাদির অনুকূলে নেই।
“আমরা আপাতত এবার ঘরেই বসেই রবীন্দ্র চর্চা করছি,” তিনি বলেন।
রবীন্দ্র সংগীত সম্মিলন পরিষদ,কুষ্টিয়ার সভাপতি অশোক সাহা জানালেন করোনার কারনে বড় আয়োজন থমকে গেলেও তারা নিরব থাকেননি। তাদের কিছু আয়োজন রযেছে। সকালেই রবীন্দ্র সংগীত সম্মিলন পরিষদ,কুষ্টিয়ার কর্মীরা টেগরলজে যেয়ে রবীন্দ্র আবক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন, কবিতা পাঠ করেছেন, সমবেত গান গেয়ে কবিগুরুকে সম্মান জানিয়ে এসেছেন।
অশোক সাহা জানান এবার তারা ডিজিটাল যুগের সুযোগ-সুবিধা কাজে লাগিয়ে তাদের শিল্পীদের নিয়ে অনলাইনে রবীন্দ্রজয়ন্তীর অনুষ্ঠান করছেন। পৌর মেয়র আনোয়ার আলী তার উদ্ধোধন করেছেন। শিল্পীরা ঘরে বসেই গান করছেন।
সারাদেশে ও বিদেশে অসংখ্য রবীন্দ্র অনুরাগীরা তা শুনছেন।
Leave a Reply