October 5, 2024, 9:31 am
বাংলাদেশের সামাজিক অঙ্গনে সুপরিচিত ড. আমানুর আমান একাধারে গবেষক, লেখক, কবি, কলামিস্ট। অত্যুজ্জল সাংবাদিকতা অঙ্গনেও। কাজ করে চলেছেন সমাজ-রাজনীতি, শিল্প-সাহিত্য ও সংস্কৃতির বিভিন্ন ক্ষেত্রে। তাঁর লেখালেখির মাধ্যম বাংলা ও ইংরেজী। গবেষণার ভাষা ইংরেজী ; গবেষণার বিষয় সমাজ, রাজনীতি, উন্নয়ন, সু-শাসন, নারী নেতৃত্ব ও ক্ষমতায়ন ও স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা।
লিখিত গ্রহ্নের সংখ্যা ১৭। গবেষণা গ্রহ্নের সংখ্যা-১২ ; ইংরেজী ভাষায়। বাংলা ভাষায় লিখিত গহ্নের সংখ্যা-৫।
ড. আমান কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগ থেকে অনার্স সহ মাষ্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ২০০৭ সালে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগ থেকে এম.ফিল ডিগ্রি অর্জন করেন। পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন ভারতের দার্জিলিং-এর ইউনিভার্সিটি অব নর্থ বেঙ্গল থেকে ২০১১ সালে।
সাংবাদিকতায় ড. আমানুর আমানের রয়েছে এক বর্ণাঢ্য ও প্রসারিত ক্যারিয়ার ; একেবারে স্কুল জীবনেই প্রবেশ এই অঙ্গনে। বর্তমানে কুষ্টিয়া থেকে প্রকাশিত জেলার ঐতিহ্যবাহী বাংলা দৈনিক ’দৈনিক কুষ্টিয়া’ এবং ইংরেজি সাপ্তাহিক ‘দি কুষ্টিয়া টাইমস’র সম্পাদক ও প্রকাশক । কাজ করছেন দেশের শীর্ষ¯’ানীয় ইংরেজি দৈনিক দি ডেইলী স্টার এর সাথে।
পেশাগত জীবনে তিনি চাকুরী করেন কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে।
====১=======
ভাবশিষ্য সকল
(এমন মানব জনম আর কি হবে
মন যা চায় ত্বরায় করো এ ভবে——-লালন)
এরা সব ভাবশিষ্য
সাজিয়ে নিয়ে দেহ তরী
ভাবের হাটে ঘাটে ঘাটে
নিত্যবেলা ভাবের বিকিকিনি।
জাত জানেনা পাত বোঝেনা
হাঁড়ি কড়ির ধার ধারে না বসতবাটি
খাঁচার ভেতর পাশা খেলা জীবন বেঁধে শূণ্য সুতায়
যতসব মরমী মদির খাঁচার পাখি অচিন মানব।
এরা সব দেহ বিহীন মনের অধীন
স্বপ্ন উড়ায় শূণ্যে ভেসে
বাতাস টেনে বৃষ্টি নামায় চোখের জলে
ধুয়ে নেয় বুকের জ্বালা ।
এদের রাত্রি বেলা দিনের শুর“ দিনের বেলা গভীর রাত
এরা চন্দ্র দেখে জীবন গোণে
জ্যোৎস্না কাটায় শব্দ বুণে
চন্দ্রকলায় উড়াল মেলে মানব পাখি ……….
সে এক মনের ভেতর অসীম আকাশ
সেই আকাশে জ্যোৎস্নারাতে অচিন পাখি
শিশির ভেজা মেঘের ডানায় ভাসিয়ে বেড়ায় মানব তরী
আহ!
লালন ভাবে
এমন মানব জীবন আর হবেনা (?)
আবার যদি এই জীবনে আরেকটি বার ……….
===== ২====
উদ্বেগ
(কবি শামসুর রাহমানকে)
এ সত্যিই এক মহা উদ্বেগ।
এক উদাসীন চোখ ঠিক অন্ধকারের দিকে
উড়তে চায়, অথচ পাখনা মেলে না
বুকের ভেতর আকাশ সমান ব্যথার পাহাড়
একেই বলে দু:সময়।
ধর্র্ষিত আজ প্রাণের প্রকাশ।
অথচ ইচ্ছেটা ছিল নীল সবুজ——-
স্বপ্ন ছিল প্রচুর অতল——-
অথচ কি বৈপরিত্য !
রক্তপাতের নিরপেক্ষ বিজয় গহীন দহনে বিষাদ
মর“ বিশ্বাস বাসা পেতেছে
অস্তিত্বের নাগাল ছুঁেয়ছে
ইচ্ছর ঠোঁট নি:সঙ্গ কাতর।
“চারিদিকে আজ বড় বেশী আরবীয় দুর্গন্ধ”
======৩========
টক শো
যখন পেছনে নতজানু বিষণœ স্বদেশ
বিতর্ক তখন ধুমায়িত সাজানো সোফায়
চরচর করে পুড়ছে সবকিছু
মামুলি ! বলে বুক চেতিয়ে চলছে কাপে দম।
অনেক কথা জমা কিš‘ সময় খুবই কম
আলোচনার মোড় ঘোরাতে তাই জন্যে
উপ¯থাপকের কর্কশ চড় (!) শর্ট, শর্ট।
টক শো
এ এক হালের ফ্যাশন
আকার ই-কারে কথার উৎসব
স্রেফ কথাবাজী
এ কেবলই আলো আধারিতে
কথাবাজদের এক কথার সুযোগ
যে কথার বুদ্বুদ প্রায়শঃ গন্ধ করে ড্রইংরুম
যেখানে কথা হয় দেশ নিয়ে, মানুষ নিয়ে নয়
কৃষি নিয়ে, কৃষক নিয়ে নয়
মাথা ব্যথা মাথা নিয়ে নয়
মাথা ব্যথা নিয়ে
শুধু আপ্ত বাক্যে অন্ধকারে ছুঁড়ে মারা
কথার ঢিল ; এক পারম্পর্য ;
(এবং) প্রতিদিন অসংখ্য কথা
শেষ পর্যন্ত এক বিষন্ন বিলাপ।
এ এক স্রেফ বিনাশ্রম
কিন্ত ’শ্রম’ শেষে মেলে শ্রমের দাম
কেননা ’বিনিয়োগের’ এ এক নির্ব্যুঢ় অধিকার।
বিনিয়োগ যার কথা তার।
Leave a Reply